1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

করোনায় চিরতরে বন্ধ হলো মধুখালীর ৫ স্কুল

সালেহীন সোয়াদ সাম্মী, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ০২:৪৩ পিএম করোনায় চিরতরে বন্ধ হলো মধুখালীর ৫ স্কুল
ছবি: আগামী নিউজ

ফরিদপুরঃ করোনার কারণে দেড় বছরে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও উপজেলার গোন্দারদিয়া, গাড়াখোলা, ভূষণা, নওপাড়া, আশাপুর এলাকার অন্তত ৫টি স্কুল খুলবে না। করোনায় ব্যয় মেটাতে না পেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেগুলো।

চলতি বছরের প্রথম দিকে স্কুল ভাড়া সহ নানাবিধ খরচ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার গোন্দারদিয়া এলাকার ৭ বছরের পুরোনো রহিমা মেমোরিয়াল  প্রি-ক্যাডেট স্কুল। বেঞ্চ আর টেবিল আর বোর্ড যেন লাকড়িতে পরিণত হয়েছে। স্কুলটি এখন পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক মোঃ আশিকুর রহমান মোল্যা জানান,  ৫ জন শিক্ষক ও ১ জন দপ্তরী নিয়ে স্কুলটি ভালোমত চলছিলো। প্রথম সময়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা একশোর উপরে থাকলেও করোনার আগে ৮০ জনের মত ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের সংসার চলতে হিমসিম খেত। স্কুলের ভাড়া বকেয়া হতে থাকে। তাই স্কুলটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, বিগত ৬-৭ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাচ্চাদের জন্য কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুলটি পরিচালনা করেছি। ইচ্ছা ছিলো স্কুলটিকে বড় করে ভালো স্থানে নিয়ে যাবো। ইতিমধ্যে আসেপাশের সকল শিক্ষকদের সাধে কথা বলে কিন্ডারগার্টেন এস্যোসিয়েশন গঠন করেছিলাম। স্কুল  খোলার পরিকল্পনা চলছিলো কিন্তু করোনায় সব শেষ করে দিলো।

মেরিন একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম ঢালী বলেন, করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন দিতে পারিনি। আমাদের মত অনেকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান খুললেও ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছেন না । যে সকল বেসরকারি স্কুলগুলো টিকে রয়েছে তাদের বেশির ভাগেরই রয়েছে নিজস্ব জায়গা। ফলে খরচ সামলিয়ে টিকে আছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলায় বেসরকারি বেশ কিছু কেজি স্কুল রয়েছে। করোনায় আয় না থাকলে স্কুলের স্বাভাবিক খরচ চালানো কঠিন। করোনায় সপ্তাহে শ্রেণীভিত্তিক ১ দিন ক্লাস করে পুরো মাসের বেতনও হয়তো দেব না অভিভাবকেরা। এজন্য অনেক স্কুলের ব্যয় মেটাতে হিমসিম খাবে। তবে বন্ধ হওয়ার স্কুলগুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner