1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

জবি শিক্ষার্থী হাফিজুরের হার না মানার গল্প

জবি প্রতিনিধি: আতিক ইয়াসির সিয়াম প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২০, ০৪:৩১ পিএম জবি শিক্ষার্থী হাফিজুরের হার না মানার গল্প

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে কয়েক পা এগোতেই দেখা মিলতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট, ব্যাগ, ব্যাচ এর দোকান । সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এই দোকান টি পরিচালনা করতেন  অদম্য হাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের  ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের (মাস্টার্স ১৬-১৭) শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের অফিস সেক্রেটারি কম্পিউটার অপারেটরের চাকুরিরত। 

জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ প্রতিবন্ধি ছিলেন হাফিজুর রহমান। বিকলাঙ্গ হাত-পাই নয়, দারিদ্রতার মতো  প্রতিবন্ধকতাও ছিলো তার সঙ্গী।  লিখতেন মুখ দিয়ে। শিক্ষার হাতেখড়ি বাবার হাত ধরেই। বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ব্র্যাক স্কুলে শুরু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন। সে সময় বেয়ারিংয়ের গাড়িতে করে সহপাঠীরা স্কুলে নিয়ে যেত তাকে। এভাবেই স্কুলে যাওয়া-আসার মধ্যে ২০০৯ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.১৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হন জ্ঞানপিপাসু হাফিজুর। তারপর অত্র উপজেলার ধুনট ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০১১ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৩.৬০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। 

অন্যের সাহায্য ছাড়া যে ছেলেটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানেই যেতে পারে না, সেই কিনা মুখে কলম ধরেই সম্মানের সহিত অতিক্রম করেছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। শত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমান ।  গ্র্যাজুয়েশনের পরে হাফিজের  ইচ্ছে ছিল জবি প্রশাসন যেনো তাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় । অবশেষে হাফিজুর রহমানের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,  ১ ফেব্রয়ারি তিনি যোগদান করছেন চাকুরীতে।  বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে ডেইলি ব্যাসিস পেমেন্টে অস্থায়ী  চাকরি দিয়েছে ।

চাকুরি পাওয়ার পর অনুভূতি ব্যাক্ত করে হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আমার এতদূর আসা। আমি পড়াশোনা করেছি।  বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আমার সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে একটি চাকুরি দিয়েছে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

প্রতিবন্ধিদের প্রতি সমাজের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে হাফিজুর বলেন, সমাজের বা রাষ্ট্রের বড় বড় মানুষেরা আমাদের মত মানুষের পাশে এগিয়ে আসুক। সমাজের সকল আবিষ্কার মানুষের প্রয়োজনে।  তেমনি মানুষ মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে আসুক। জন্মগত বা যারা বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয় তাদের পাশে আসা প্রয়োজন। এতে মানুষ প্রতিবন্ধকতা কাটিতে তুলতে পারবে ও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।

হাফিজুর রহমান ১৯৯৩ সালে বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেলকুচি গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেন হাফিজুর রহমান। বাবা পক্ষাঘাতের রোগী মো. মফিজ উদ্দিন পেশায় সাধারণ কৃষক, মা ফিরোজা বেগম গৃহিণী।

আগামীনিউজ/সিয়াম/তামিম


 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner