1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ব্রয়লারের ডাবল সেঞ্চুরি, স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৩, ০১:১০ পিএম ব্রয়লারের ডাবল সেঞ্চুরি, স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে

ঢাকাঃ বাজারে নিত্যপণ্যের দাম গত কয়েক মাস ধরেই চড়া। মাঝে দফায় দফায় বেড়েছে সব ধরনের শাক-সবজির দাম। তবে গত দুয়েক সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। যদিও তা ক্রেতার নাগালে রয়েছে এমনটি বলা যাবে না, তবে দামও বাড়েনি। তবে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আমিষ। এতে মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছুঁয়েছে ২০০ টাকা।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। পাশাপাশি গোল বেগুন প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করল্লা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও মান ও আকারভেদে লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, জালি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এরমধ্যে গ্রীষ্মকালীন নানা সবজি বাজারে ওঠায় দু-একটি ৫ থেকে ১০ টাকাও কমেছে।

এদিকে, বাজারে নতুন সবজি হিসেবে কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। পাশাপাশি পুইশাক ৩০ টাকা, পাটশাক আটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, ডাটা ২৫ থেকে ৩০ টাকা আঁটি হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোয় প্রত্যেক সবজির দাম কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টাকা কম রয়েছে।

অন্যদিকে, আমদানির অনুমতির পর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজে সয়লাব বাজার। আমদানি শুরুর পরপর কিছুটা কমলেও বাজারে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। সেই সঙ্গে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া আগের মতোই অস্বস্তি রয়ে গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। গেল সপ্তাহে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। পাশাপাশি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজিতে। আর ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

একইভাবে দাম বেড়েছে মাছের। বাজারে এক কেজি তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম এখন ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ প্রতিকেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছও গেল সপ্তাহের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতা বোরহান উদ্দিন বলেন, মোকামে (পাইকার) মুরগির দাম বেশি তাই খুচরায় দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে দাম কম ছিল তাই ১৮০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার বিক্রি করেছিলাম আজ আবার দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বিক্রিতেও দাম বেড়েছে।

সোহাগি আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে একটা পণ্যের দাম কমছে তো আজ বাড়ছে। আর কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমছে না। সে তুলনায় আমাদের আয় বাড়ছে না, এভাবে দরদাম বাড়ায় আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, এখন ইলিশ মাছ নদীতে কম ধরা পড়ছে এ কারণে দাম বেশি। আড়তে অনেক বেশি দাম হওয়ায় অনেকেই মাছ আনার সাহস করছেন না। কারণ আনার পর যদি বেশি দামে ক্রেতা না কেনেন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner