1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

পাটকল শ্রমিকদের ১১৬ কোটি টাকা অর্থ ছাড়

আমির হামজা প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৮:১৬ পিএম পাটকল শ্রমিকদের ১১৬ কোটি টাকা অর্থ ছাড়

সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী নতুন মজুরি কমিশন অনুযায়ী বিজেএমসি এর নিয়ন্ত্রণাধীন আলিম জুট মিল বাদে বিশেষ করে খুলনা ও যশোর অঞ্চলের পাটকলগুলো শ্রমিকদের জন্য ১১৬ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ।

ইতিমধ্যে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের পে-স্লিপ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক শ্রমিকের নিজস্ব নামে পে-স্লিপ প্রদান করা হয়। তখন শ্রমিকদের বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে মিলগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলে তারা এ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাজেট অনুবিভাগ-১ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) পক্ষে ওপরে উল্লেখিত অর্থ ছাড় করতে সিনিয়র সহকারী সচিব নুরউদ্দিন আল ফারুক স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, বিজেএমসির পাটকল শ্রমিকদের জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০১০ পর্ষন্ত আট সপ্তাহের মজুরি পরিশোধের নিমিত্তে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণায়ের বিজেএমসি অনুকূলে ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে ১১৬ কোটি টাকা সাতটি শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাতদিন আগে খুলনা ও যশোর অঞ্চলের প্রতিটি মিলে সাত সপ্তাহের মজুরি পাওনা রয়েছে বলে শ্রমিক নেতারা জানান।

এদিকে নতুন মজুরি কমিশন অনুয়ায়ী পে-স্লিপ হাতে পাওয়ায় শ্রমিকরা উল্লসিত হয়েছিল। সেই দিনই খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে স্লিপ হাতে তারা এ নিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে।

খুলনা-যশোর অঞ্চলে বিজেএমসি অধীন জুটমিল রয়েছে নয়টি। এর মধ্যে খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুটমিল, প্লাটিনাম জুবিলী জুটমিল, ক্রিসেন্ট জুটমিল, দিঘলিয়া উপজেলায় স্টার জুট মিল এবং আটরা শিল্প এলাকায় আলিম জুট মিল ও ইস্টার্ন জুট মিল অবস্থিত।

এছাড়া যশোরের নওয়াপাড়ায় যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রি (জেজেআই) ও কার্পেটিং জুট মিল রয়েছে।

অর্থ বিভাগের পরিপত্রে অর্থ ছাড়ের শর্ত বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বিজেএমসি এর মিলগুলোর জন্য নির্দিষ্ট খাত ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না। এ অর্থ সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের একাউন্ট পে চেক এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

বরাদ্দ কৃত অর্থ ব্যয় সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত বিবরণী অর্থ বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।

বিজেএমসি তাদের কর্মপরিকল্পনা আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারের কাছে পেশ করতে হবে। বরাদ্দ কৃত বিজেএমসি’র অনুকূলে ‘পরিচালনা ঋণ’ হিসেবে গণ্য হবে, যা আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।

বরাদ্দকৃত অর্থ ১১৬ কোটি টাকা কেবলমাত্র শ্রমিকদের মজুরি বাবদ পরিশোধ করতে হবে।

খুলনা-যশোর অঞ্চলের সরকারি জুটমিলগুলোতে বর্তমানে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার মতো পাট নেই। শ্রমিকরা শুধু মিলে হাজিরা দিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের কর্মসপ্তাহ বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা অঞ্চলের এই পাটকলসমূহে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। বাকি সব বদলি শ্রমিক।

প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের সিবিএ নেতা জানিয়েছে, সাত দিন আগে  শ্রমিকদের কাছে স্লিপ প্রদান করা হয়।

ক্রিসেন্ট জুট মিলের আরেক সিবিএ নেতা বলেন, শ্রমিকদের ২০১৫ সালের নতুন মজুরি কমিশন অনুয়ায়ী ৪ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি এই এক সপ্তাহের মজুরির স্লিপ শ্রমিকদের প্রদান করা হয়েছে। অর্থ ছাড়ের খবর শুনতে পেলেও বিজেএমসি থেকে এখনও অর্থ পাওয়া যায়নি। অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

বিজেএমসি খুলনার আঞ্চলিক লিয়াজোঁ অফিসার মো. বনিজ উদ্দীন মিয়া জানান, শ্রমিকদের দাবি সরকার মেনে নিয়ে নতুন মজুরি কমিশন অনুযায়ী মজুরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুয়ায়ী তাদেরকে স্ব-স্ব নামে মজুরির স্লিপ দেওয়া হয়েছে। সরকার অর্থ বরাদ্দ দিলে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করতে পারবে মিলগুলো


আগামীনিউজ/এএইচ/এএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner