ঢাকাঃ ২০২২ সালের মে-জুন মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য ২৩০ মিলিয়ন ডলার জরুরি ঋণ সহায়তা অনুমোদন করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (২২ মার্চ) এই অর্থ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর, সুনামগঞ্জ এবং সিলেটের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এই অর্থ ব্যয় হবে।
গত বছর মে-জুন মাসে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা হয়। এতে নিম্নাঞ্চলীয় হাওর অঞ্চলে ৭.২ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এই ঋণ সাহায্য করবে বলে এডিবি আশা করছে।
বাংলাদেশে এডিবি প্রিন্সিপাল পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট টিকা লিম্বু বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশ তার সক্ষমতার ক্রমাগত উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চাপে থাকা দেশের ১১টি অঞ্চলে একটি অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে ‘পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার’ মূলনীতি প্রয়োগ করে এই প্রকল্প সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনরুদ্ধার, জীবনযাত্রার উন্নতি এবং কমিউনিটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রার জন্য সহায়ক হবে।
এডিবি জানায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্ট ও সেতুসহ ৭৫৭ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা এবং ৩৪ কিলোমিটার রেলপথসহ ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও পরিবহন অকাঠামো পুনর্গঠনে সাহায্য করবে এই অর্থ। বয়স্ক, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যও সহায়ক হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষি ব্যবস্থা, নদী তীরবর্তী এলাকার উন্নয়ন, সুপেয় পানির জন্য টিউবয়েল স্থাপন, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজেও ব্যয় হবে এই ঋণের অর্থ। এছাড়া জলবায়ু অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোকে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা হিসেবে এডিবির টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স স্পেশাল ফান্ড থেকে অতিরিক্ত ১০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
বুইউ