1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সাকিবের স্বর্ণের দুই কোম্পানির নাম প‌রিবর্ত‌নের পরামর্শ

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২, ০৯:১৬ এএম সাকিবের স্বর্ণের দুই কোম্পানির নাম প‌রিবর্ত‌নের পরামর্শ

ঢাকাঃ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান যে রিলায়েবেল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নামক দুইটি কোম্পানির মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবসায় নেমেছেন, সে দুই কোম্পানির নাম থেকে ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জ’ শব্দ দুইটি বাদ দিতে পরামর্শ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার  (২৫ মে) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা উভয় কোম্পানিকে পৃথক দুইটি চিঠি পাঠিয়ে এ পরামর্শ দিয়েছে।

রিলায়েবল এবং বুরাক নামের কোম্পানি দুইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে আপনাকে কোম্পানির নাম থেকে ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জ’ শব্দ বাদ দিতে পরামর্শ দেওয়া হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কমোডিটি পণ্যের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে লেনদেন (ফিউচার কন্ট্রাক্ট) চালুর জন্য কমিশনের পুর্বানুমোদন দরকার। কমিশন অনুমোদিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জই এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।

দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ১৬ মে রিলায়েবেল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এবং বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে বিএসইসি কোম্পানি দুইটির কাছে তারা কোন ব্যবসা মডেলে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে— তা সাতদিনের মধ্যে জানাতে চিঠি দিয়েছিল।

ব্যাখ্যা তলব করে পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি তার মূল আইন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ উদ্ধৃত করে বলেছিল, ভবিষ্যতে পণ্য বিক্রির জন্য চুক্তি বা ‘কমোডিটি ফিউচারস কন্ট্র্যাক্ট’ এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কমিশনে নিবন্ধিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সম্পন্ন হতে পারে এবং এ ধরনের চুক্তি ‘সিকিউরিটি’ হিসেবে গণ্য হবে।

বিএসইসির নিবন্ধন নেওয়া ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো সিকিউরিটির ব্রোকার ও ডিলার হতে পারে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া সাকিবের কোম্পানি কীভাবে ‘কমোডিটি ফিউচার’ ধরনের ব্যবসা করছে, সে বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চায় বিএসইসি।

ওই চিঠির পর গত ২২ মে ফিরতি চিঠিতে তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মালিকানার দুটি কোম্পানি জানিয়েছে, তারা সব নিয়মনীতি মেনেই স্বর্ণ ব্যবসা করছে।

উভয় কোম্পানির পণ্য থেকে আলাদা প্যাডে পাঠানো জবাবে স্বাক্ষর রয়েছে এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার রাশেক রহমানের। রাশেক রহমান আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য।

ওই জবাব পর্যালোচনা শেষে বুধবার নাম সংশোধনের পরামর্শ দিয়ে ফের চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি।

গত ২৩ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে রিলায়েবেল কমোডিটি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসান বাংলাদেশি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড কিউরিয়াসের সঙ্গে মিলে সুইজারল্যান্ডে তৈরি ১ থেকে ১০০ গ্রামের ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বার বিক্রি করবে বলে ঘোষণা দেন। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। ওই ঘোষণায় সাকিব আল হাসান জানান, তার অপর কোম্পানি বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ স্বর্ণবার আমদানি ও দেশের বাজারে বিক্রির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।

এমবুইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner