1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
বাম্পার ফলনের সাথে মিলছে কাঙ্খিত দামও

ভুট্টা চাষে হাসি সারিয়াকান্দির কৃষকের মুখে

জাফরুল সাদিক, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১, ০৩:২৮ পিএম ভুট্টা চাষে হাসি সারিয়াকান্দির কৃষকের মুখে
ছবি: আগামী নিউজ

বগুড়া: করোনা কালেও থেমে নেই কৃষকরা। মাঠে হাসছে তাদের নানা জাতের ফসল। এর মধ্যে ভুট্টা কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষান-কৃষানীরা। তাদের যেন দম ফেলানোর সময়নেই। তাদের আঙ্গিনায় শোভা পাচ্ছে হলুদ রঙের ভুট্টার মাচা। তা দেখে চাষীদের মুখে ফুটে উঠেছে স্বপ্ন পূরণের হাসি। কারণ এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনের সাথে মিলছে কাঙ্খিত দামও। 

এবার বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে বছরের পর বছর অনেক জমি পতিত পড়ে থাকে। এসব পতিত জমিতে বিভিন্ন অসুবিধা থাকায় ভাল কোন ফসলের চাষ করা যায়
না। কিন্তু ওইসব পতিত জমি ভূট্রা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরাও ভুট্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তাদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক ।

উপজেলা কৃষি অফিস ও চাষীরা জানান, বছরে দুই মৌসুমে ভূট্টার আবাদ হয়ে থাকে। একটি রবি মৌসুম আর একটি গ্রীস্ম মৌসুম। যমুনা ও বাঙালী নদীর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে উর্ব্বর পলি মাটির চর জেগে উঠে। অসমতল চরের এসব জমিতে সেচ নির্ভর অন্য কোন ফসল করা সম্ভব পর না হওয়ায় চাষীরা ব্যাপক ভাবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েন।  

এ বছর উপজেলায় ৩হাজার ১শ ৫হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। বপনের পর হতেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভুট্টা বাম্পার ফলন হয়েছে। কামালপুর ইউনিয়নের চপল টিকাদার ১৫ বিঘা,দুলাল ৩বিঘা,নুরুনবী মন্ডল ৪বিঘা, কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের চরের চাষী আলমগীর হোসেন ২বিঘা,কাজলার ছালাম ব্যাপারী ৬ বিঘা হাসেম আলী ২০শতক ও চন্দনবাইশা ইউনিয়নের টেকামাগুড়া চরের চাষী খয়বর প্রামানিক ১৮বিঘা, রশিদ মুন্সী ৪বিঘা, আব্দুল আকন্দ ১৩ বিঘা ও আজিজার রহমান ১০ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। 

তারা জানান,এবার বীজ ক্রয়,চাষ,তিন বার সেচ,সামান্য রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও কাটামাড়াইসহ খরচ হয়েছে ১০/১১ হাজার টাকা। যেখানে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০/৪৫ মন করে ভুট্টা উৎপন্ন হতো বাম্পার ফলন হওয়ায় সেখানে এবার ৪৫/৫০মন ভুট্টা পাওয়া যাচ্ছে। কাটা মাড়াইয়ের পর উপজেলা বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রতি মন ভুট্টা ৫শ’৫০টাকা হতে ৫শ ৮০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অল্প পরিশ্রমে চাষীরা চরের জমিতে ভুট্টা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। ভুট্টা ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাজারগুলো সরগড়ম হয়ে উঠেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম জানান, আমাদের কৃষি অফিসের পরামর্শের কারনে ভুট্টা চাষে ঝুকে পড়ছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরাও। তাছাড়াও ভূট্রা চাষীদের যাবতীয় কারীগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছি। অনুকুল আবহাওয়া ফলন বেশি হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

আগামীনিউজ/নাহিদ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner