1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সারাদেশে করোনা আক্রান্তে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ১০ জেলা

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২০, ০৪:৫৩ পিএম সারাদেশে করোনা আক্রান্তে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ১০ জেলা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ করোনা মহামারীর প্রথম দিকে এপ্রিল মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। এখন তা আবার ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বিক্রি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিটেন্সে উল্লম্ফন, ব্যাংকের চেয়ে সুদের হার বেশি এবং সরকারি চাকুরেদের একটি অংশ সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে ঝোঁকাসহ কয়েকটি কারণে বিক্রি বেড়েছে।

জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রবাসী আয়ে অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী, সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ার একটা কারণ হতে পারে। অনেকে বিদেশে সঞ্চয় ভেঙে দেশে সঞ্চয় করছেন। আর করোনার মধ্যেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়ে কোনো অসুবিধা হয়নি। তাদের বড় একটি অংশ সঞ্চয়পত্র কিনে থাকতে পারেন। এর বাইরে কোনো কারণ দেখছি না।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) জুলাই-আগস্টে ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই অংক গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ের দ্বিগুণেরও বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে ৩ হাজার ৭১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। আর আগস্টে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা এক মাসের হিসাবে গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে ৪ হাজার ১৩০ কোটি ৭১ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। আর গত বছরের আগস্টে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের আগস্টের চেয়ে এবার আগস্টে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে মোট ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল।

জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার শফিকুর রহমান বলেন, ব্যাংকের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি। এছাড়া ঋণ না দেয়ায় ব্যাংকে পর্যাপ্ত আমানত আছে। আমানত নিয়ে আগের মতো তেমন কাড়াকাড়ি নেই। পুঁজিবাজারও আজ ঠিক তো কাল বেঠিক। এসব কারণে মানুষ যা বিনিয়োগ করছে, সবই সঞ্চয়পত্রে। তাই এর বিক্রি বাড়ছে।

জানা গেছে, বিক্রির চাপ কমাতে গত বছরের ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। সেইসঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্ত আরোপসহ আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ফলে কমতে শুরু করে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। কিন্তু এখন তা আবার বাড়ছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরেছিল সরকার। বিক্রি কমায় বছরের মাঝামাঝিতে এসে সেই লক্ষ্য কমিয়ে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু জুন মাসে অস্বাভাবিক বিক্রির কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ অর্থবছর শেষে ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে।

সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা বাংলাদেশে লাগতে শুরু করার পর গত এপ্রিলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে নেমে আসে। ওই মাসে মোট ৬৬১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। সুদ-আসল বাবদ শোধ করা হয় তার প্রায় দ্বিগুণ ১ হাজার ২৮৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তাতে নিট বিক্রি ছিল ৬২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ঋণাত্মক। অর্থাৎ এপ্রিল মাসে যত টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল তার থেকে ৬২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেশি গ্রাহকদের সুদ-আসল বাবদে পরিশোধ করা হয়েছিল। মে মাসে ৩ হাজার ২২৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। সুদ-আসল বাবদ শোধ করা হয় ২ হাজার ৭৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৩০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল সরকার। তার আগের অর্থবছরে নিয়েছিল ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ধার হয়েছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner