1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২০, ১১:০৬ এএম নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ  নিত্যপণ্যের দাম কমছে না কোনোভাবেই। বরং দফায় দফায় বাড়ছে। দিনদিন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম। চাল, ডাল, পিয়াজ, তেল ও সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের বাজার এখনো চড়া। বাজারে এখন ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। নতুন করে বেড়েছে আলুর দাম। বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। এখনো ঝাঁঝ ছড়াচ্ছে পিয়াজ ও মরিচের দামে।

চালের বাজার তো আগে থেকেই চড়া। নিত্যপণ্যের এই অস্বাভাবিক দামে যেন চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষ। করোনার কারণে এমনিতেই মানুষের আয়ে ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।

রাজধানীর কাওরান বাজার, শান্তিনগর ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন প্রায় সব পণ্যের দামই চড়া। বিশেষ করে সবজির আকাশচুম্বী দামে বিক্রেতারা যেন দিশেহারা। সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রকারভেদে সব ধরনের সবজি কেজিতে ৮০ থেকে ১০০, ১২০ টাকারও ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি দীর্ঘদিন ধরেই ২০০ টাকার ওপরে। গতকাল মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি পাকা টমেটো ১০০-১২০, গাজর ৬০-৮০, লম্বা বেগুন ৭৫-৮৫, গোল বেগুন ১০০-১১০, বরবটি ৮০-১০০, করলা ৭০-৮০, পটোল ৭০-৭৫, ঢেঁড়স ৫৫-৬০, শসা ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথম দফায় বন্যার কারণে সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমছিল। এখন আবার বন্যার পানি ও টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে আসায় দাম বাড়ছে। এদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে নতুন করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম আরেক দফায় ৫ টাকা বেড়েছে। ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আলুর দাম।

পান্থপথ থেকে কাওরান বাজারে বাজার করতে এসেছেন আমিন উদ্দিন। চোখেমুখে তার হতাশার ছাপ। ১৭ হাজার টাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বাজারে এখন সবকিছুর দাম বেশি। যা বেতন পাই তার অর্ধেক বাজার করতেই চলে যায়। এরমধ্যে আবার বাসা ভাড়া দিতে হয়। যা আয় করি সবই খরচ হয়ে যায়। তিনি বলেন, পান্থপথ থেকে কাওরান বাজারে আসছি যাতে একুট কম দামে সবকিছু কিনতে পারি। এখানে তুলনামূলক একটু কমে পাওয়া যায়। ৫ কেজি আলু এখান থেকে ২০০ টাকায় নিয়েছি, যা কেজিতে ৪০ টাকা পড়ে। আর পান্থপথের আশপাশের খুচরা বাজারে এই আলু ৪৫-৫০ কেজিতে কিনতে হতো। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও আলু ৩০ টাকায় কিনেছি, তার আগে ১৫-২০ টাকাতেও আলু খেয়েছি। অথচ এখন ৪০-৪৫ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে।

ওদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম বেড়ে এক লিটারের বোতল ১১৪-১১৫ টাকা, ২ লিটারের বোতল ২২৬ এবং ৫ লিটারের সয়াবিনের বোতলের দাম ৫৫০-৫৫৫ টাকা করা হয়েছে।

তেল বিক্রেতা জানান, প্রায় সব কোম্পানিই বোতলজাত সয়াবিন তেলে লিটার প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছে। রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের ৫ লিটার বোতলের গায়ের মূল্য এখন ৫৫০ টাকা। এক মাস আগেও এটি ছিলো ৫২৫ টাকা। দুই লিটার বোতলের দাম ২২৬ টাকা, এটি ছিলো ২১৬ টাকা। ১ লিটার ১১০ টাকা থেকে দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১৫ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের বোতলের দাম ৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে সবচেয়ে কম দামের মোটা স্বর্ণা চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। আর সরু মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। গত সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে তিন থেকে ৫ টাকা বেড়েছ। বিশেষ করে মোটা চালের দাম তুলনামূলক বেশি।

কাওরান বাজারের একজন বিক্রেতা জানান, মানভেদে মিনিকেট চালের প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ২,৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর মোটা চালের বস্তা ২,৪৫০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখনো চড়া পিয়াজের দাম। কাওরান বাজারের আড়তে পাল্লা প্রতি (৫ কেজি) পিয়াজ ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচড়া বাজারে যা ৮৫ থেকে ৯০, ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পিয়াজ ৭৫-৮৫, দেশি রসুন ১১০-১২০, আমদানি রসুন ৯৫-১০০ বিক্রি হচ্ছে।

আগামীনিউজ/জেহিন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner