ঢাকাঃ করোনা মহামারির এই সংকটকালে অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। গত কয়েক মাসে জনজীবনে টানা স্থবিরতায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাও অকেটাই ধীর হয়েছে। এই সময়কালে নেতিবাচক প্রভাবের লাগাম টানতে ঋণগ্রহিতাদের খেলাপি না করার সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ফলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহিতা ঋণ শোধ না করলেও এর শ্রেণিমানে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। অর্থাৎ গত (১ জানুয়ারি) ঋণটি যে মানে শ্রেণিকৃত ছিল আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তা সেই মানেই রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার(২৮সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বকেয়া ঋণের কিস্তিগুলো কীভাবে নির্ধারিত হবে সে বিষয়েও বলে দেয়া হয়েছে।
দেশে নভেল করোনা ভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি সৃষ্টির পর প্রথম দফায় ঋণগ্রহিতাদের ঋণখেলাপি না করার সুবিধা জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে এ সময় বাড়ানো হয় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্তমানে করোনার ভীতি কিছু কমলেও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব আরও দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই ঋণগ্রহিতাদের ব্যবসার ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণের শ্রেণিমান পরিবর্তন না করার সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তবে কোনও ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা হবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়, গেল (৯চ জানুয়ারি) ২০২০ তারিখে বিদ্যমান মেয়াদি (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) ঋণের বিপরীতে (৩১ ডিসেম্বর) সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিগুলো বিলম্বিত হিসেবে বিবেচিত হবে।
এক্ষেত্রে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট ঋণের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে। আর তখন জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব কিস্তি প্রদেয় ছিল তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এই সময়কালে কোনও কিস্তি পরিশোধিত না হলে তার জন্য মেয়াদি ঋণগ্রহিতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আগামীনিউজ/জেহিন