1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
কুঁচিয়া রফতানি বন্ধে

লোকসানের মুখে সংগ্রহকারী থেকে আড়তদার

বরিশাল প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ১২:২২ পিএম লোকসানের মুখে সংগ্রহকারী থেকে আড়তদার

বরিশাল: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আমদানি-রফতানিতেও বেশ প্রভাব পড়েছে। এ ধারাবাহিকতায় এরইমধ্যে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে কুঁচিয়া রফতানিও বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন খামারিদের কাছ থেকে দাদন নেয়া কুঁচিয়া সংগ্রহকারী জেলে ও আড়তদাররা।

বৃহৎ আকারে কুঁচিয়া চাষের এ উপজেলা থেকে রফতানি বন্ধ থাকায় অনেকটা ভরা মৌসুমেও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন চাষাবাদ, সংগ্রহ ও রফতানির কাজের সঙ্গে জড়িতরা। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাটিতেও ধস নামার শঙ্কা দেখছেন অনেকে। দ্রুত চীনে কুঁচিয়া রফতানি স্বাভাবিক না হলে বড় লোকসানের মুখে পড়বেন খামারি, আড়তদারসহ কুঁচিয়া সংগ্রহকারীরা।

জানা গেছে, বিশ্বের অনেক দেশে কুঁচিয়া জনপ্রিয় খাদ্য, তবে চীনের নাগরিকদের কাছে এর চাহিদা ও জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তবে দেশটিতে করোনাভাইরাসের কারনে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে চীনে কুঁচিয়া রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েছেন আগৈলঝাড়া উপজেলার কুঁচিয়া সংগ্রহ ও রফতানির কাজের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ পরিবার। কিছুদিন আগেও রফতানিযোগ্য কুঁচিয়া সংগ্রহ ও রফতানির কাজে যে আড়তগুলোতে ছিল কর্মচাঞ্চল্যতা সেখানেই এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।

আড়তের শ্রমিকদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত কুঁচিয়ার মৌসুম থাকলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিই হলো কুঁচিয়ার ভরা মৌসুম। কিন্তু ভরা মৌসুমের শুরুতেই করোনাভাইরাসের ধাক্কায় পুরোপুরি ধস নেমে এসেছে এ ব্যবসায়। আর মোট রফতানির ৯০ শতাংশের মতো কুঁচিয়া চীনে রফতানি হত। বাকি ১০ শতাংশের মতো কুঁচিয়া রফতানিহয় হংকং, তাইওয়ানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে। 

অপরদিকে রফতানি না থাকায় ব্যাংক ও এনজিওর ঋণসহ ব্যবসায় ধসের শঙ্কায় দু:চিন্তায় পড়েছেন কুঁচিয়া আড়তদারসহ রফতানির কাজের সঙ্গে জড়িতরা।

উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রোজিনা আকতার বলেন, উপজেলায় যেমন অনেক কুঁচিয়া ব্যবসায়ী রয়েছেন, তেমনি এর সঙ্গে না হলেও কমপক্ষে ৫শ পরিবার জড়িত রয়েছেন। এসব কুঁচিয়া বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় রফতানি হয়, এর মধ্যে শুধু চীনেই ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ রফতানি  হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে চীন কুঁচিয়া মাস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন স্থানীয় বাজারেও কুঁচিয়া বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, করোনোভাইরাসের প্রভাবে চীন সরকার কুঁচিয়া আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের সাময়িকভাবে লোকসান হচ্ছে, কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমদানি শুরু হলে সমস্যার সমাধান হবে।

অপরদিকে দেশীয় বাজারে কুঁচিয়া মাছের চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে বাজারগুলোকে খুঁজে বের করতে পারলে সাময়িক এসব সমস্যা কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব।

যদিও চীনে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ না কমলে চলতি বছরের কুঁচিয়া রফতানিতে কোনো আশা দেখছেন না এখানকার কুঁচিয়া ব্যবসায়ীরা।

আগামীনিউজ/ হাসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner