ঢাকা : সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ কমাতে এ খাতে বিনিয়োগে নানা শর্ত আরোপ করা হয়েছে। পাশাপশি সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ বাড়ানোর পর এবার ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিছে সরকার। অর্থাৎ ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে এতদিন যে পরিমাণ সুদ পেতো গ্রাহক এখন থেকে তার প্রায় অর্ধেক মুনাফা পাবে।
এতদিন তিন বছর মেয়াদে এ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে জনগণ সুদ পেতেন ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এখন থেকে সুদ পাবে ৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরিণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে তিন বছর মেয়াদে ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। আগে যা ছিলো ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। দুই বছর মেয়াদের সঞ্চয়পত্রে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। আগে যা ছিলো ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া এক বছর মেয়াদে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। আগে যা ছিলো ১ দশমিক ২০ শতাংশ।
এছাড়া আমানতকারী ইচ্ছা করলে প্রতি ৬ মাস অন্তর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১ম বছরে ৪ শতাংশ, ২য় বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং ৩য় বছরে ৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবে। আগে যা ছিলো যথাক্রমে ১ম বছরে ৯ শতাংশ, ২য় বছরে সাড়ে ৯ শতাংশ এবং ৩য় বছরে ১০ শতাংশ।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, ডাকঘর সঞ্চপত্রও হচ্ছে সরকারের এ ধরনের সঞ্চয়পত্র। যা ডাকঘরের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে থাকলেও এ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর। সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে। নাবালকের পক্ষেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা হচ্ছে- একক হিসেবে ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম হিসেবে ৬০ লাখ টাকা।
এদিকে নানা শর্তে কমছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের পঞ্চম মাসে (নভেম্বর) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের বছর একই মাসে বিক্রি হয় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র।
আগামীনিউজ/আমিরহামযা/সবুজ