ঢাকা : চীনের উদ্ভূত নোভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হোঁচট খেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রীরা। এজন্য বিকল্প বাজার খোঁজার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার মতিঝিল শিল্প মন্ত্রণালয়ে চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্সের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সভায় কোরবাণীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও রফতানি বিষয়সহ কয়েকটি প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চামড়া শিল্প ব্যবসায়ী সমিতির নেতা এবং গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এরমধ্যে চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা যথাসময়ে কোরবাণীর চামড়া না কিনলে তা সংরক্ষণের জন্য সরকারি পর্যায়ে গুদামে ন্যূনতম তিন মাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন হলে সাময়িকভাবে কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোদন দেয়া হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন চার মন্ত্রী।
বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ফলে চীনের বাজারে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্যের রফতানি হোঁচট খেয়েছে। এখন বিকল্প বাজার সন্ধানে আলোচনা হয়েছে।’
চামড়া শিল্পের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদের সুরক্ষা এবং এর সর্বোচ্চ বেনিফিট নেয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোনোভাবেই গত কোরবাণীর ঈদের মতো আর কখনো এ সম্পদ নষ্ট হতে দেবো না।’
সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবাণীর চামড়া যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিল্প, বাণিজ্য, পরিবেশ ও বন, ধর্ম, তথ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে একটি সুপারিশ পেশ করবে।
এছাড়া, কোরবাণীর চামড়া কেনার ক্ষেত্রে অর্থছাড়ের দীর্ঘসূত্রতার অবসান, কোরবাণীর পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ট্যানারি মালিক, ফড়িয়া, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, মসজিদের ঈমাম, আলেম-ওলামাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দেয়া।
আগামীনিউজ/জুনায়েদ/সবুজ