ঢাকাঃ আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক।
বুধবার ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্যাংকটির পর্ষদের একজন পরিচালক বলেন, বৈঠকে ব্যাংকের সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। এখন সমাধান হবে। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখন থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যেসব পরিচালক বাদ পড়েছেন, তাদের আর অনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আমানতকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে আশ্বস্ত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জানা গেছে, ব্যাংকটির লোকসান ঠেকাতে জালিয়াতির মাধ্যমে দেওয়া ঋণ আদায় এবং বেনামি ও ভুয়া ঋণের সুবিধাভোগী চিহ্নিত করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ব্যাংকটির ২২ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা বা ৫৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ঋণের বিপরীতে কোনো আয় আসে না।
যদিও গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনবিএলের খেলাপি ঋণ ১৩ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা এবং অবলোপন করা খেলাপি ১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। এর বাইরে ৭ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা নিয়মিত দেখানো হলেও নানা উপায়ে সুদমুক্ত হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
গেল ২১ ডিসেম্বর এক আদেশে প্রথম প্রজন্মের এই বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই দিনে ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে ও পরিচালক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি)।
নতুন করে গঠন করা পর্ষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। এছাড়াও পরিচালক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, পারভিন হক সিকদার, উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমান, সিকদার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক মো. সফিকুর রহমান ও উদ্যোক্তা শেয়ারধারী হিসেবে পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন।
এমআইসি/