ঢাকা: প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৮ মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি’র) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড।
বুধবার (২২ জানুয়ারি)সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি’র) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের এর একটি চৌকস দল গত ৯ জানুয়ারি যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রাহকের প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম রাজুকে গ্রেফতার করেছে। তার নামে বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
তিনি আরো জানান, আসামি মো. রিয়াজুল ইসলাম রাজু ও অপর সহযোগীদের নিয়ে গত ১৫ জুলাই প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড-এর সনদ নিয়ে যশোর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ দলের সদস্যদের সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নেয়।
তদন্তে জানা যায় যে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিদের সহযোগিতায় শাখা অফিস খুলে লোভনীয় প্রস্থাবের মাধ্যমে গ্রাহককে প্রলুব্ধ করার বাৎসরিক ৩০% লভ্যাংশে সঞ্চয়পত্র খোলা, স্থায়ী আমানতের ৪ বছরে দ্বিগুণ টাকা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় দুইহাজার পাঁচশ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে।
সিআইডি মো. রিয়াজুল ইসলাম রাজুর সম্পত্তি অনুসন্ধান চালিয়ে অপরাধলব্ধ ৫ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পায়। তার ২টি বসতবাড়ি, ২টি কাভার্ড ভ্যানসহ ১০ বিঘা জমির সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড-এর নামে ২টি গাড়ি ও ৬টি স্থানে জমির সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। কুষ্টিয়ার জনৈক রেহানা এবং আমিরুল নামের ব্যক্তিরা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ৩ মাস জেল খাটেন।দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন তিনি।
তদন্তে জানা যায়, এই চক্রের অন্যতম সদস্য শম্পা রাণী সাহা ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হন। এই প্রতারক চক্রের অন্যান্য সহযোগীরা বর্তমানে বিভিন্ন জেলাতে স্থানীয় নিবন্ধন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সিআইডি প্রতারক চক্রটির মূল উৎপাটনের লক্ষ্যে মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
আগামীনিউজ/এআর/হাসি