ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বিয়ের বড়যাত্রী যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন মিয়া (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে ঢাকা উত্তরা লেক বিও স্পেশালাইজড হসপিটাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়৷
সুমন মিয়া বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের এলাই মিয়ার ছেলে।
নিহতের চাচা মলাই মিয়া জানান, গত রোববার দুপুরে সরাইলে উপজেলার বেড়তলা এলাকায় তার ছোট ছেলে রুবেল মিয়াকে বিয়ে করানোর জন্য বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়নের হরিপুর থেকে ৫০-৬০ বরযাত্রী নৌকা নিয়ে মুজলিশপুর আসে। ওই বরযাত্রীদের সাথে তার ভাতিজা সুমন মিয়াও ছিল। বরযাত্রীরা বেড়তলা যাওয়ার জন্য মজলিশপুর বাজারে যাওয়ার পর, সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জের ধনা মিয়ার ছেলে দাদন মিয়া ২০-২৫ লোক নিয়ে ওই বাজারের পূর্ব পাশের বালুর মাঠের সামনে বরযাত্রীদের উপর অতর্কিত হামলা করেন। সেই হামলায় তার ভাতিজা সুমনের মাথায় গুরুত্ব ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করেন। এক পর্যায়ে সোমবার ঢাকার উত্তরা লেক বিও স্পেশালাইজড হসপিটাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, তার ভাতিজা সুমনের বড়ভাই শাহ আলম গত ৭ বছর আগে দাদন মিয়ার চাচাতো বোন কোহিনুরকে বিয়ে করছিল। কোহিনূর চারিত্রিক ভাবে তেমন ভাল ছিল না। যে-কারনে কোহিনুরকে তার ভাতিজা শাহ-আলম ডিভোর্স দিয়েছিল। কোহিনূরকে ডিভোর্স ও দেনমোহরের টাকা নিয়ে দাদন ও শাহ-আলমের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ পূর্বশত্রুতা নিয়েই শাহ-আলমকে না পেয়ে কোহিনূর এর ভাই দাদন মিয়ার লোকজন বরযাত্রীদের উপর হামলা করেন। দাদন মিয়া, সুমনকে ঘটনাস্থলে রট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আধমরা করেন। তিনি এ হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ কাজ করছেন। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আগামীনিউজ/ হাসান