1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ইরফানের ৭ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২০, ০২:১৭ পিএম ইরফানের ৭ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাসের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এছাড়া তার ব্যক্তিগত সহকারী দীপুসহ আরও দুইজনের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। আদালতের কাছে তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।


গত (২৫ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও গত ( ২৬ অক্টোবর)  ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব।’

এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই ঘটনায় গতকাল সোমবার (২৬অক্টোম্বর)  সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সেই মামলায় এর আগে গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের এই মামলায় সাংসদের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে এবি সিদ্দিক দিপুর নামও আছে। এছাড়া মামলাটির অন্য তিন আসামি হলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমান।

পরে সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেন এলাকায় হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইরফানকে আটক করে র‌্যাব-১০। পরে তাকে ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‍্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর রাত একটার দিকে কারাগারে পাঠানো হয় সেলিমপুত্রকে।

আগামীনিউজ/জেহিন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner