1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
রাঙ্গুনিয়ায়

পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিল দুই ভাই

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০, ০৯:৩৯ এএম পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিল দুই ভাই
সংগৃহীত ছবি

রাঙ্গুনিয়াঃ চোখের সামনে বাবাকে গলা কেটে হত্যার দৃশ্য দেখে বদলা নেয়ার  প্রতিজ্ঞা করে দুই সন্তান। ৩১ বছর পর পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন দুই ছেলে মো.মহসিন ও মো.হাসান। ঘটনাস্থল চট্টগ্রামে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর শীর্ষ সন্ত্রাসী আইয়ুব মহসিন-হাসানের চোখের সামনে বাবা আবদুস সাত্তার তালুকদারকে গলা কেটে হত্যা করে, তখন তাদের বয়স তখন ৩ বছর ও ১২ বছর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে বাড়ে প্রতিশোধের স্পৃহা। 
সন্ত্রাসী আইয়ুবকে হত্যা করতে ও আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পেশাদার অপরাধীদের বাদ দিয়ে দুই ভাই ভাড়া করেন ইট ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস ও ট্রাকচালক আবদুল আজিজ ওরফে মানিককে। কুদ্দুসের সঙ্গে ২০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আইয়ুবকে গুলি করে হত্যা করেন আজিজ।
অভিযুক্ত ট্রাকচালক আজিজকে গ্রেফতার করলেও পুলিশ এখনো মহসিন ও হাসানকে ধরতে পারেনি। তাদের পলাতক দেখিয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করেছে পিবিআই।
পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক ধারণা ছিল- আইয়ুবকে হয়তো অন্য কোনো সন্ত্রাসী দল হত্যা করেছে। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। গ্রেফতারের পর ট্রাকচালক আজিজ জানিয়েছে- পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে মহসিন-হাসানের পরিকল্পনায় সে হত্যা করেছে আইয়ুবকে। এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহসিন, হাসানসহ বাকি ছয়জন এখনো পলাতক।

আইয়ুব হত্যার নেপথ্য দৃশ্যে,

পিতৃহত্যাকারী আইয়ুবকে হত্যার উদ্দেশ্যে আবদুল করিম পুতুল, মুন্সি মিয়া, মোহাম্মদ ইউনুস, আবদুল কুদ্দুস ও ইকবাল চৌধুরী নামে কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসান ও মহসিন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আবদুল কুদ্দুস ভাড়া করেন আব্দুল আজিজ ওরফে মানিক, মো.আজিম, আব্দুল জলিল, মো.রুবেল ও মো.মহিন উদ্দিনকে। ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর তারা রাঙ্গুনিয়ার আলমশাহ পাড়ায় একটি বৈঠক করে। বৈঠকে আব্দুল জলিল, মো. রুবেল ও মো. মহিন উদ্দিনকে আইয়ুবের ওপর নজরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়।

গত ৫ অক্টোবর জলিল, রুবেল ও মহিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিরা আলমশাহ পাড়ায় অস্ত্র নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় অবস্থান নেয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর একুইল্যা পুকুর পাড়ের বসাকপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন আইয়ুব। ওই সময় সিএনজি থেকে নেমে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আইয়ুবকে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায় আজিজ। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান হত্যাসহ ১৩ মামলার আসামি সন্ত্রাসী আইয়ুব।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner