পাবনাঃ জেলার বেড়ায় গ্রাম পর্যায়ে অনুমোদনহীন ফার্মেসী গড়ে উঠেছে। এসব ফার্মেসীতে জ্বর, সর্দি, কাশি এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের অনুমান করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ঔষুধ। ড্রাগের লাইসেন্স ছাড়াই ফার্মেসী ও হাতুরে ডাক্তারদের তৎপরতা উপজেলার বেড়েই চলেছে।
ফার্মেসীগুলোতে মিলছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ। অন্যদিকে একই দোকানে খাবার সামগ্রীর পাশাপাশি বিক্রয় হচ্ছে কীটনাশক। ফলে স্বাস্থ ঝুকিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া, কৈটুলা, নতুন ভারেঙ্গা, আমিনপুর, রুপপুর সহ কয়েকটি ইউনিয়নের বাজারে সহ বিভিন্ন গ্রামের অনুমোদনহীন অর্ধশতাধিক ফার্মেসী দেখা গেছে। এসব দোকানিরা ড্রাগ লাইসেন্স দেখাতে ব্যার্থ হয়েছেন। অনুমোদনহীনভাবে ফার্মেসীগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানীর লোকজন ঔষুধ সরবরাহ করছে।
প্রায় প্রতিটি দোকানগুলোতে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ দেখা গেছে। বাজার ও গ্রামগুলোতে মুদি দোকানে খাবার সামগ্রীর পাশাপাশি কীটনাশক, সার, গবাদি পশুর ওষুধ, মাছ ও পশুর খাদ্য বিক্রি হচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়াই মুদি দোকানে ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন, ব্যাটারির, পানি, লুব্রিকেন্ট বিক্রয় করা হচ্ছে।
কৃষি অফিসার মো. মোসকোর আলী জানান, তাদের মনিটারিং অব্যাহত রয়েছে। লাইসেন্স নিয়ে বিধিমালার বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ যদি খাবার সামগ্রী দোকানে কীটনাশক বিক্রয় করে সরেজমিনে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আসিফ আনাম সিদ্দীক জানান, নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ ওষুধ নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সামগ্রী এবং অনুমোদনহীন ফার্মেসীগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/এএইচ