নওগাঁয় পরকীয়ার জেরে সাত বছরের শিশু কন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার ওই গ্রামের প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। ঘটনার পর শিশুটির মা তামান্না বেগম পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে মা তামান্না বেগম ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার রাতের খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে তারা ঘুম থেকে না ওঠায় সুমাইয়ার দাদি তাদের ডাকতে যান। ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়ার পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না মেলায় তিনি জোরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়।
এ সময় খাটের ওপর সুমাইয়াকে ঘুমানো অবস্থায় দেখা গেলেও তার মা তামান্না বেগমকে দেখা যায়নি। সুমাইয়াকে ডেকেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তার গায়ে হাত দিলে কোনো নড়াচড়া না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন দাদি।
এ সময় স্থানীয়রা এসে দেখেন সুমাইয়ার নিথর দেহ খাটের ওপর পড়ে আছে এবং তার মা বাড়িতে বা এলাকায় নেই। ঘরের মধ্যে খাটের ওপর অগোছালো বিছানার চাদর, সিগারেটের প্যাকেট ওও প্যাকেটের সঙ্গে ৫০ টাকা পড়ে ছিল।
সুমাইয়ার বাবা দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে রয়েছেন। আর এ সুযোগে তামান্না বেগম গোপনে মোবাইলে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলতেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। পরকীয়ার ঘটনায় এমনটি হতে পারে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আগামী নিউজ/ তামিম