যশোরঃ মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে নিজ জন্মভূমিতে পৌঁছালো যশোরের শার্শার রবিউল ইসলামের মরদেহ। চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মৃত রবিউল ইসলাম একই গ্রামের মৃত আবেদ আলী মোল্যার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাত ১২ টা ৫৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহের কফিন নিয়ে বিমান পৌঁছায়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ৪টার সময় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৩৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয় নিহতের স্বজনের হাতে। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে আসা হয় মৃত রবিউলের গ্রামের বাড়ি শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের পাড়ের কায়বা গ্রামে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির। সকাল ১১ টায় জুম্মার নামাজের আগে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
গত ৩০ জুন মালয়েশিয়ার প্রবাসী রবিউল হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
মৃতের জামাতা জিকু জানান, তার শশুর পরিবারের মানুষদের সুখে রাখতে প্রবাসে পাড়ি জমান প্রায় ১০ বছর আগে। গত তিন বছর আগে একবার ছুটিতে দেশে এসে পরিবারের সাথে সময় কাটিয়ে আবার পাড়ি জমিয়েছিলেন মালয়েশিয়াতে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম রবিউল মৃত্যুর সময় স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
মো: মনির হোসেন/বুইউ