রাজশাহীঃ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপির ভুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটির আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপ শহর এলাকার রাজশাহী স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে ভোট দেওয়া শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপির অবশ্যই ভুল হয়েছে। তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হতো। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের অবস্থান বুঝতে পারতো। আমরাও বুঝতে পারতাম। এ নির্বাচনটি প্রকৃত অর্থে ভালো হতো। তারা না এলে কিছু করার নেই। এরপরও বিএনপি ও জামাতের কাউন্সিলর প্রার্থী আছে। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আনবেন।
এ মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, জামাত ও বিএনপির ভোটার আছেন। তাদের ভোটগুলো কোন খাতে যাবে সেটা জানি না। তবে উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে হলেও তাদের নৌকায় ভোট দেওয়া উচিত। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতিও ভালো হবে। আশা করছি ৬০ শতাংশেরও ওপরে ভোট পড়বে।
এর আগে সকাল ৯টায় সপরিবারে ভোট দিতে স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে আসেন মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি তার স্ত্রী শাহীন আকতার রেণী, দুই মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা ও মাইশা জামান শ্রেয়াকে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন।
এবারের নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটারের এই নগরীতে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। তবে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ভোটার ৬ জন। এবার নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে আছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সিটি নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলছে।
বুইউ