1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কোরবানির বাজার ধরতে ব্যস্ত ঝিনাইদহের খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম কোরবানির বাজার ধরতে ব্যস্ত ঝিনাইদহের খামারিরা

ঝিনাইদহঃ কোরবানির বাজার ধরতে এখন পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের খামারিরা। চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত করছেন ঝিনাইদহের খামারিদের। কোরবানির বাজার ধরতে তাইতো মোটাতাজাকরণে এখন ব্যস্ত তারা।

গো-খাদ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে এবার খরচও বেশি। সীমান্তবর্তী এই জেলায় ভারতীয় গরুর আমদানি ঠেকানো না গেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার খামারি জিনারুল ইসলাম তরুণ বলেন, গত ৩ বছর ধরে লালন পালন করছেন ব্রাহামা জাতের দুটি গরু। একেকটি গরুর ওজন ২৫ থেকে ২৭ মন হবে। যার দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা করে। এরই মধ্যে একেকটি গরুর মূল্য উঠেছে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা। আর ১৮ দিন পরেই ঈদুল আযহা। তাই একটু বেশিই যত্নআত্তি চলছে তাদের পালন করা রাজা ও বাদশা নামের গরু ২টির। জেলা শহরের খামারি জিনারুল ইসলাম তরুণের মতো জেলার ৬ উপজেলায় কোরবানির পশু পালনে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে খামারিরা।

আগামী সপ্তাহে পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনাবেচা। তাইতো বাজার ধরতে গরুর বিভিন্ন ধরণের যত্নে ব্যস্ত তারা। প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক খাবার ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করছেন তারা।

খামারিরা বলেন, এ বছর পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। প্রতিদিন গরু প্রতি খরচ হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়াও এ বছর ভাবাচ্ছে প্রচণ্ড তাপদাহ। কারণ এভাবে তাপদাহ চলতে থাকলে বড় বড় গরু স্ট্রোক করতে পারে। তবে ঈদের আগে যদি তাপদাহ স্বাভাবিক হয় তাহলে কিছুটা হলেও আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরবে এবং বেশি দামে আমাদের পালন করা গরু বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। তাই ঈদের আগে দেশের বাজারে ভারতীয় গরু প্রবেশে কঠোর নজরদারির দাবি জানান তারা।

ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার সরকার বলেন, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু লালন পালন ও বাজারজাত করণের বিষয়ে জেলার সকল খামারিদের নানা ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২ লাখ ৪ হাজার ৯২৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৬০ হাজার পশু পাঠানো হবে ঢাকার গাবতলী, মাদারিপুর, টেকেরহাট, বরিশাল, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পশুর হাটে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner