1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

পরকীয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে গৃহবধূ

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩, ০১:৩৫ পিএম পরকীয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে গৃহবধূ

টাঙ্গাইলঃ ধনবাড়ীতে পরকীয়া প্রেমে বিভোর হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে পাগলের মতো বলে চলেছেন, ‘আমি জাহাঙ্গীরকে ছাড়া বাঁচব না, মারা গেলেও আর স্বপনের ঘর করব না’। তিনি এখন ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

ওই গৃহবধূ স্বপন মিয়ার সঙ্গে সংসার করছেন প্রায় ২০ বছর। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের খাদ্য গুদামের পাশে চা বিক্রি করেন। স্বপনকে চা বিক্রিতে সহযোগিতা করতেন। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে চারজনের সংসার ভালোই চলচ্ছিল।

দুই বছর আগে স্বপনের সঙ্গে পরিচয় হয় খাদ্যগুদামের গেটম্যান জাহাঙ্গীর আলমের। তিনিও দুই সন্তানের জনক। পরিচয় থেকে স্বপন ও জাহাঙ্গীরের সম্পর্ক বন্ধুত্বে গড়ায়। শুরু হয় একে অপরের বাড়িতে যাওয়া-আসা। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ও স্বপনের স্ত্রীর মধ্যে ভাব গড়ে ওঠে। একে অপরের ভালা লাগা থেকে শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। জাহাঙ্গীর গোপনে স্বপনের স্ত্রীকে মোবাইল ফোন কিনে দেন। এরপর মোবাইলে চলে তাদের প্রেমালাপ।

ওই গৃহবধূর বাবা বলেন, ‘গোপনে তাকে (গৃহবধূ) মোবাইল কিনে দেওয়ার পর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কথাবার্তা চলত। মাস খানেক আগে সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে গোপনে জাহাঙ্গীর তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। দুই দিন পর তারা বাড়িতে ফিরে আসে। ঢাকা থেকে ফেরার পর থেকেই তার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। সে কাউকে ঠিকভাবে চিনতে পারছে না। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন বারবারই বলছে, ‘আমি জাহাঙ্গীরকে ছাড়া বাঁচব না, মারা গেলেও আর স্বপনের ঘর করব না আমি মরে যাব।’ বলে গৃহবধূর বাবা আরো বলেন, আমার মেয়ের সর্বনাশ করে দিয়েছে। জাহাঙ্গীরের বিচার চাই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বাঐজান গ্রামের খলিলুর রহমান ওরফে মুরগি খলিলের ছেলে।

মুরগি খলিল স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্বপন মিয়া পৌর শহরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।

এদিকে জাহাঙ্গীরের সরকারি চাকরি আর তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় কতিপয় মাতাব্ব ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে বলে অভিযোগ।

ওই গৃহবধূর স্বামী স্বপন মিয়া বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। জাহাঙ্গীর এখন পলাতক। ঘটনাটি আমি ধনবাড়ী থানায় গিয়ে পুলিশ ও পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল কে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জাহাঙ্গীরকে পাওয়া যায়নি।


ধনবাড়ী পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই নারীকে দেখতে গিয়েছিলাম। ওই নারীর অবস্থা ভালো না। দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’

ধনবাড়ী থানার ওসি এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। তারা লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner