ময়মনসিংহঃ সিরিয়াল রেপিষ্ট শাহজাহান ও মাসুম। তাদের টার্গেট গ্রামের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী আর প্রবাসীর স্ত্রীদের অপহরণ করে ধর্ষণ করা। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। সম্প্রতি ময়মনসিংহের এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রেপিষ্ট শাহজাহান ও তার চার সহযোগী। বেরিয়ে আসে বিকৃত যৌনাচারের পর স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার রহস্য।
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশের কন্ফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাহজাহান (২৬), হামেদ আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৩৮), আবু হনিফার ছেলে মাসুম বিল্লাহ ওরফে ফজর আলী (২২), আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪), আ. হাইয়ের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯)। তারা প্রত্যেকে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও পলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া রঘুনাথপুর এলাকায় বাড়ির পাশের আম গাছ থেকে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ফাহিমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি নিছক আত্মহত্যা, না কি হত্যাকাণ্ড তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার ছয়দিন পর মাসুম ও শাহজাহান নামে দুজনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে বিকৃত যৌনচারের পর স্কুলছাত্রী ফাহিমাকে হত্যার রহস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা আড়াল করতেই হত্যা করে গাছে ঝুলানোর নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করে তারা।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া আরও বলেন, তাদের গ্রেফতারের পর সিরিয়াল রেপিষ্ট শাহজাহান ও মাসুমের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি, নারী নিযাতন ও ধর্ষণের বেশ কয়েকটি মামলার তথ্য বেরিয়ে আসে। তাদের টার্গেট গ্রামের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী আর প্রবাসী স্ত্রীদের অপহরণ করে ধর্ষণ করা।
ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া।
উল্লেখ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ হয় ফাহিমা। পরের দিন ভোরে বাড়ির পাশে আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ফাহিমাকে দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালে গণধর্ষণের পর হত্যার আলামত পায়। পরে ওই দিন স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুইউ