ঠাকুরগাঁওঃ জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার চাপোড় পার্ব্বতীপুর দাখিল মাদ্রাসার ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ও আদালত অবমাননার অভিযোগে গত (২৪ অক্টোবর) সোমবার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সহ চারজনকে শোকজ করেছে আদালত।
জেলা আদালত সূত্রে জানা যায়, মৌজাবিহীন ২৩৬ জন ভুয়া ভোটার তালিকা অনুমোদন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলীকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয় এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ।
মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলী তার নিঃসন্তান ভ্রাতা মোজাম্মেল হককে ভোটার করা ও আনিকুল ইসলামের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা থাকা সত্ত্বেও ভোটার না করায় গত ১০ অক্টোবর মাদ্রাসা সুপার রমজান আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন অভিভাবক আনিকুল ইসলাম।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী গণের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করায় গত ২৪ অক্টোবর পুনরায় বিবাদীগণকে শোকজ করেন আদালত।
নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য সুপার রমজান আলী, এডহক কমিটির সভাপতি রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ, শিক্ষক প্রতিনিধি হাকিম, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৈয়ব আলীকে শোকজ করেন।
এবিষয়ে অভিভাবক আনিকুল ইসলাম বলেন, চাপোড় পাব্বর্তীপুর মাদ্রাসায় নিয়মিত ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সেই মাদ্রাসায় ২৩৬ জন ভোটার কিভাবে হলো সে বিষয়টি আমাকে হতবাক করেছে। নিয়োগ বাণিজ্য করবেন বলেই মাদ্রাসা সুপার কৌশলে তার মনোনীত লোকদের ম্যানেজিং কমিটিতে নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও মাদ্রাসা স্থাপনের ক্ষেত্রে ১৫০ শতক জমি থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে রয়েছে মাত্র ৪০ শতক জমি।”
এব্যাপারে মাদ্রসা সুপার রমজান আলী’র সাথে তথ্য চাইতে গেলে তিনি সংবাদকর্মী দেখে সটকে পড়েন।
ওই মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ মুঠোফোনে বলেন, আদালতে মাদ্রাসার সুপার কি প্রতিবেদন দিচ্ছে দেখা যাবে। তাছাড়া নিঃসন্তানরা কিভাবে ভোটার হয় তা খতিয়ে দেখা হবে।
আনোয়ার হোসেন আকাশ/এমইউ