বিয়ের এক সপ্তাহেই দায়ের কোপে প্রাণ গেলো নববধূর

সারাবাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ১০:৪২ এএম

শেরপুরঃ মাদকাসক্ত প্রতিবেশী যুবকের দায়ের কোপে দিতি (১৮) নামে এক নববধূ নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জুন) রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলা পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নববধূ দিতি নালিতাবাড়ী শহরের কালিনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, কালিনগর মহল্লার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে রহুল আমিন (২৫) মাদকাসক্ত। তারই প্রতিবেশী মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে বাবার বাড়ি কালিনগরে রেখে স্বামী খাইরুল কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে যান।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘাতক রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান। এ সময় রাহেলা দিতিকে দরজা খুলতে বললে দিতি দরজা খুললেই মাদকাসক্ত রহুল আমিন দা দিয়ে দিতির মাথায় সজোরে কোপ দেন। এতে দিতি চিৎকার দিয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। দিতির মা মনোয়ারার চিৎকারে বাড়ির লোকজন দৌড়ে এলে রহুল আমিন পালিয়ে যান।

পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে দিতিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত সাড়ে দশটার দিকে নকলা এলাকায় দিতির মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনার পর পলাতক রাত ১২টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। 

এমবুইউ 

• বিষয়:
• হত্যাকাণ্ড
• শেরপুর