পটুয়াখালীঃ কলাপাড়ায় পৌরশহরের নাগরিকরা মশার কামড়ে নাকাল ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে, কতৃপক্ষের নেই কোন নজরদারী। শহরের কাভার ড্রেন গুলো নিয়মিত পরিস্কার না করা, যত্র তত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং শহরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত খাল গুলো দখল, দূষনে প্রায় মরাখালে পরিনত হওয়ায় আশংকা জনক হারে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে আবাসিক এলাকা, হাট-বাজার, অফিস, পাড়ায়-মহল্লায় দিনের বেলায়ও মশার সংক্রমন এড়াতে মশার কয়েলের ব্যবহার বেড়েছে। এছাড়া সন্ধ্যার পর শিশুদের নিয়ে মায়েদের মশারী টনিয়ে অথবা মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘরের ভেতর অবস্থান করতে দেখা গেছে।
কলাপাড়া পৌরসভা সূত্র থেকে জানা যায়, মশক নিধনে রাজস্ব খাত থেকে প্রতিবছর তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ঔষধ কিনে খরচ করা হয়। এছাড়া ঈদের আগে ঔষধ কিনে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্প্রে করে দেয়ার কথা জানায় সূত্র।
পৌরসভার ক্লিনিং সুপারভাইজার নুরুল হক বলেন, পৌরসভা থেকে আমাদের ঔষধ কিনে না দিলে আমরা কিভাবে স্প্রে করবো। এছাড়া তার দাবী শহরের খোলা ড্রেন সবগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাভার ড্রেন শুধু প্রেসক্লাবের সামনে পরিস্কার করা হয়েছে।
পৌরসভার এতিমখানা ৪ নং ওয়ার্ডের নাগরিক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান বলেন, মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে আমি বাসার নীচতলা থেকে দোতলায় উঠেছি। কিন্তু সেখানে দেখি আরও বেশী মশার উপদ্রব। রাতে মশারী থেকে বেরিয়ে বাচ্চারা একবার ওয়াশ রুমে এলে মশারীর ভেতরে অগনিত মশার অস্বিত্ব মেলে। যাতে মশারী টানিয়েও শান্তিতে একটু ঘুমের চিন্তা করা দুস্কর হয়ে উঠেছে।
কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুবলাল দত্ত বনিক বলেন, রাজস্ব খাত থেকে প্রতিবছর তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ঔষধ কিনে খরচ করা হয়। সরকার থেকেও মাঝে মধ্যে কিছু বরাদ্দ পাওয়া যায়। মশার ঔষধের অর্ডার মেয়রের করার কথা। অর্ডারের ঔষধ হাতে পেলে দ্রুত নাগরিক সেবার উদ্দোগ নেয়া হবে।
কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: হুমায়ুন কবির বলেন, পৌরসভার সামনে খালের উপর একটি কালভার্টের কাজ করার জন্য খালে বাঁধ দেয়ায় কিছুটা মশার উপদ্রব বেড়েছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বাঁধ ছেড়ে দেয়ার পর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হলে মশার উপদ্রব কমে যাবে। এছাড়া ঈদের আগে মশক নিধনে পৌরসভার সব ওয়ার্ডে ঔষধ স্প্রে করা হবে বলে জানান তিনি।
রাসেল কবির মুরাদ/এমএম