রাজবাড়ীঃ হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ১ ঘণ্টা বন্ধ রাখে কতৃপক্ষ।
অপর দিকে ফেরি সংকট ও অতিরিক্ত
যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট প্রান্তে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।এতে করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ফেরী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে অন্তত ৬শতাধিক যানবাহন। এতে করে দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রী ও চালকরা। তবে এর মধ্যে শতাধিক যাত্রীবাহী বাসও সিরিয়ালে আটকে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে পদ্মা-যমুনা নদী উত্তাল হয়ে যাওয়ায় নৌদূর্ঘটনা এড়াতে বুধবার ২০ এপ্রিল বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ১ঘন্টা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও এ নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়ায় দুটি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামত করা হচ্ছে। পাশাপাশি দৌলতদিয়া প্রান্তে অতিরিক্ত যানবাহনেরও চাপ রয়েছে।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহী যানবাহন আটকে রয়েছে। পচনশীল পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
সিরিয়ালে থাকা কয়েকজন ট্রাক চালক অভিযোগ করে বলেন, কিছু জরুরী গাড়ির সাথে অনেক সাধারণ পণ্যবাহী গাড়িও সিরিয়াল অমান্য করে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বাড়তি অর্থ দিয়ে ফেরী পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা সিরিয়ালেই আটকা পড়ে আছি। আজকে নদী পার হতে পারবো কি না বুঝতে পারছিনা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিক ভাবে চলাচল না করতে পাড়ায় সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল সম্পন্ন বন্ধ ছিলো। ঝড়ে কোন ফেরির সমস্যা না হলেও ঘাটের পন্টুন ডিসপ্লেস হয়েছিল। তবে তা ঠিক করে আবার ফেরি চলাচল চালু করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত যানবাহন নদী পার হতে আসায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি সৃস্টি হয়েছে। আমরা সেগুলোকে নিয়ম মাফিক পার করার চেষ্টা করছি।
আবুল হোসেন/এমএম
-20240301143030.jpg "ঢাকায় অগ্নিকান্ডে যশোরের রকি নিহত, দাফন সম্পন্ন"){kind=tracking}
-20240301110318.jpg "কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের পথে আরও ১২৫০ রোহিঙ্গা"){kind=tracking}