1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে জাতি, ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে বৈসাবি উদযাপন

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২২, ০৩:৩৭ পিএম কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে জাতি, ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে বৈসাবি উদযাপন

রাঙ্গামাটিঃ কাপ্তাই হ্রদে জাতি, ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে আজ সকালে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান উৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠেছে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ।

ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বৈসু, মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর বিষু এবং চাকমা জনগোষ্ঠীর বিজু, এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে বৈসাবি। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবি উৎসব।

আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এ উপলক্ষে ভোরে রাঙামাটি রাজবন বিহার নৌ-ঘাটে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি (অবঃ উপ-সচিব) প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে এ দিনে মূল উৎসবের শুভ সূচনা করেন।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন, জেলা পরিষদের সদস্য ঝর্ণা খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সৌখিন চাকমা, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা। এতে সভাপতিত্ব করেন ফুল ভাসানো উপ-কমিটির আহ্বায়ক আলোময় চাকমা।

জেলা প্রশাসক বলেন, বৈসাবি উৎসবের রঙ দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত উপভোগ করছি। গত বছর করোনার কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। এবার মানুষের আনন্দ উচ্ছ্বাস অন্তরকে ছুয়ে গেছে। সকলকে বৈসাবির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নতুন বছরের মঙ্গল কামনা করে বৈসাবির উৎসবকে ধারণ করে আমাদেরকে অসাম্প্রদায়ি সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করাসহ হানাহানি পরিহার করা প্রয়োজন। সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

রাজবন বিহার ঘাটে ফুল ভাসাতে আসা নর-নারী, তরুন-তরুনীরা অনেকে বলেন, ফুলের মত পবিত্র হয়ে যেন ভবিষ্যত উজ্জল হয় এবং সকলে মিলেমিশে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারি এই প্রার্থনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দিনগুলি যেন হানাহানি, মারামারি ও বিশ্বের সকল প্রাণী যেন রোগ মুক্তি লাভ করতে পারি সেজন্য নিজ নিজ সৃষ্টি কর্তার নিকট প্রার্থনা করা হয়েছে।

রাজবন বিহার ঘাটে ফুল ভাসাতে আসা আরো বলেন, বিজু উৎসব হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। পুরো বছরটা যেন ভালোভাবে থাকতে পারি এজন্য সকলে একত্রিত হয়ে নদীতে ফুল ভাসিয়ে জল দেবতার কাছে প্রার্থনা করি।

পুরাতন বছরের সমস্ত পাপ, গ্লানি, দুঃখ ভূলে গিয়ে নববর্ষে সকল প্রাণীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি মঙ্গল কামনায় ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা করা হয়। ঐতিহ্য অনুযায়ী ১২ এপ্রিল নদীতে ফুল ভাসিয়ে তিন দিনের উৎসব শুরু হয়। আগামীকাল ১৩ এপ্রিল পালিত হচ্ছে মূল বিজু। ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ গোজ্যাপোজ্যে দিন ও বর্ষবরণ উৎসব।

এ বৈসাবি উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে এবং সৌহার্দ্যপুর্ণ ভাবে একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে বলে এমন আশা ফুল ভাসাতে আসা সকল জাতি, ধর্ম মানুষদের।

নিউটন চাকমা/এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner