চুয়াডাঙ্গাঃ জেলার সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে দোস্ত গ্রামের মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজে এঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার আরাফাত রহমান (১১) সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসতিপাড়ার মনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে দোস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানায়, আলি আহমেদ নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ওই ফ্যাশন হাউজ পরিচালনা করতেন নারীরা। প্রায়ই ওই দোকান থেকে টাকা চুরির ঘটনা শুনা যায়। রোববার দুপুরে স্কুল টিফিনের সময় আরাফাত রহমান স্কুলছাত্র খাবার কিনতে দোকানে এলে তাকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। তবে তার শরীর তল্লাশি করে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি।
তারা আরও বলেন, কেউ যদি চুরিও করেন তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেবে। আইন নিজের হাতে তোলা ঠিক হয়নি। তাও সে একজন শিশু। শিশুর প্রতি এহেন আচরণের ধিক্কার জানাই।
অভিযুক্ত মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজের মালিক আলী আহমদের দাবি, প্রতিনিয়ত আমার দোকানের টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। রোববার টাকা চুরির অভিযোগে কিছুক্ষণ দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেও মারধর করা হয়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন বলেন, রোববার দুপুরে জানতে পেরে ওই দোকান থেকে আমার ছাত্রকে মুক্ত করে আনি। তবে তার কাছে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি। দোকানি মারধর না করলেও প্রকাশ্যে বেঁধে রেখেছিল তা স্বীকার করেছেন। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুর প্রতি এহেন আচরণ কাম্য নয়।
দোকানে থাকা রোমানা খাতুন নামে এক নারী বলেন, আমি তাকে হাতেনাতে টাকাসহ ধরেছি। তাই বেঁধে রেখে ছিলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালেহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি রাতে ঘটনাটি শুনেছি। কেউ যদি চুরিও করে এভাবে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা আইন লঙ্ঘন। কেউ এই ধরনের কাজ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুর কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
এমএম