1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২২, ০৪:১৫ পিএম মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস

হবিগঞ্জঃ আজ ঐতিহাসিক ৪এপ্রিল তেলিয়াপাড়া দিবস। মুক্তিযুদ্ধের সূবর্ণজয়ন্তী চললেও ঐতিহাসিক তেলিয়াড়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানটির আশানুরুপ কোন উন্নতি হয়নি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা যুগ যুগ ধরে দাবি করলেও দাবি পূরণে কোন অগ্রগতি হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে  তেলিয়াপাড়াকে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর ও পর্যকটদের বিভিন্ন সুবিধা রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য দাবি করা হয়েছিল। মন্ত্রী, এমপিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে তেলিয়াপাড়ায় বৈঠক করে তেলিয়াপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বাংলো এবং বুলেট সংরক্ষনের ঘোষনা দেন। কিন্তু  কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঐতিহাসিক স্থানটিকে দেখতে যাওয়া দর্শনার্থীরা বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এখন ঐতিহাসিক 
স্থানটিকে ঘিরে মাদক সেবী ও চোরকারবারীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা কমে গেছে। মক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান ম্যানাজার বাংলো সীমান প্রাচীর দিয়ে চলাচল সংরক্ষিত করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের কমান্ডার মরহুম এডঃ মোহাম্মদ আলী পাঠান ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়াকে মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্ন্তভুক্ত করে এ স্থানটির সংস্কারের দাবি জানিয়ে সরকারের নিকট বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। কিন্তু জমি জটিলতায় ন্যাশনাল টি কোম্পানী তেলিয়াপাড়া চা বাগান তাদের জায়গা হস্তান্তরে আপত্তির কারণে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।

মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধো ফুল মিয়া জানান, আজ আমরা হতাশ, দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে এলেও ঐতিহাসিক স্থানটির কোন উন্নতি হয়নি।  স্বাধীনতা ৫১বছর হলেও মুক্তিযোদ্ধের প্রথম সাক্ষী তেলিয়াপাড়ার কোন অগ্রগতি নেই। সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রী এনামূল হক মোস্তফা শহীদ ও বর্তমান বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডঃ মাহবুব আলী তেলিয়াপাড়ার সভায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। তবে বাস্তবে কোন অগ্রগতি নেই। 

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুল মিয়া আরো জানান, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা রেসকোর্স ময়দানে ৭ ই মার্চের কালজয়ী ভাষনের পর মুক্তিপাগর বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় ভারত বাংলাদেশ কাছাকাছি স্থান ৪ এপ্রিল দিনে মাধবপুর উপজেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধাস্ত গ্রহণ করা হয়। ওই বৈঠকে ১১টি সেক্টর বন্টন করা হয়। তেলিয়াপাড়া বৈঠকে সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল আতাউল গনি ওসমানী, (অব) আব্দুর রব এম,এন,এ, লেঃ কর্ণেল সালেহ উদ্দিন মোহাম্মদ রেজা। মেজর কে,এম,সফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর সাফায়েত জামীল, মেজর সি আর দত্ত, ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিম, ক্যাপ্টেন মতিন, ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভূইয়া, লেঃ সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, লেঃ হেলাল মুর্শেদ খাঁন, লেঃ নাসির উদ্দিন,লেঃ মাহবুব, লেঃ আনিস, লেঃ সেলিম, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার ভি, সি, পান্ডে, আওয়ামালীগ নেতা মোস্তফা আলী এম. এন. এ, মানিক চৌধুরী এম,এন.এ, মৌওলানা আসাদ আলী এম.পি.এ, এনামূল হক মোস্তফা শহীদ এম. পি.এ, মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, দুলাল চৌধুরী, দেওয়ান আশ্রাফ আলী, ছাত্রনেতা কাজী কবির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী পাঠান, শাহ মোঃ মুসলিম, শফিকুল হোসাইন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডঃ আকবর আলী খান, এস. ডি. ও, কাজী রকিব উদ্দিন, এস. ডি. ও, মমতাজুর রহমান সি.ও, মাহবুবুল হুদা ভূইয়া, আব্দুল ছাত্তার, খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানাজার বাংলোটি ৪ এপ্রিল থেকে মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর ও পরে ৩ ও ৪ নং সেক্টর কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ বছর ৪ এপ্রিল উদযাপনের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। 

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের অমরকৃর্ত্তি তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধের নানা উন্নয়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব গৃহিত হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারবে এবং দেশ বিদেশের পর্যটকদের আগমন বেড়ে যাবে।

মোঃ এরশাদ আলী/এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner