গোপালগঞ্জঃ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১তম জন্ম তিথি উপলক্ষে শুরু হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মতুয়া সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ মহা বারুনীর স্নান উৎসব ও তিন দিনব্যাপী বারুনী মেলা। পাপ থেকে মুক্তি ও পূণ্য লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পূর্ণাথীরা অংশ নিচ্ছেন এ স্নান উৎসবে। এ উপলক্ষে ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ীর তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে মেলা। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে মতুয়া সম্প্রদায়ে তির্থভুমি শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে তিথিতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের তিথিতে ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়িতে স্নান উৎসব ও বারুনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গত দুই বছর করোনার কারণে এ স্নান উৎসব না হওয়া এবং গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠাকুর বাড়ি ঘুরে যাওয়ার কারণে এ বছর লাখো মতুয়া ভক্ত স্নান উৎসবে যোগ দেয়। স্নান উৎসবে যোগ দেয়া ভক্তদের পদচারনা সাথে ঢাক, ঢোল আর কাশার বাড়িতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরা ঠাকুরবাড়ি। গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুর পরিবারের উত্তরসূরী স্নান উৎসব কমিটির সভাপতি দেবব্রত ঠাকুর পুজা অর্চনার পর স্নান উৎসবের উদ্ভোধন করেন। পরে ভক্তরা মন্দিরে পুজা অর্চনা শেষে ঠাকুর বাড়িতে অবস্থিত কামনা সাগর ও বাসনা সাগরে (মুলত পুকুর) স্নান করে ঠাকুরের কাছে পাপ থেকে মুক্তি, পুন্য লাভ ও দেশবাসীর মঙ্গল প্রার্থনা করে।
এছাড়া এ স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে ঠাকুর বাড়ীর এলাকায় প্রায় ৬০ একর এলাকা জুড়ে বসেছে বারুনী মেলা। কুঠির শিল্প হস্ত শিল্পসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানান পন্যের সমাহার ঘটেছে এ মেলায়।
মেলায় একদিকে যেমন রয়েছে ধর্মীয়-আবহ, অন্যদিকে রয়েছে লোকজ ঐতিহ্য। পিছিয়ে পড়া জাগতিক মানুষের মুক্তির জন্য হরিচাদের অবদানের কথা স্মরণ করতে পাপ মুক্তি ও পুন্য লাভের আশায় ভক্তরা শ্রীধাম ওড়াকান্দির ছুটে আসেন বলে জানালেন এখানে অংশ নেয়া পুর্নার্থী ও ঠাকুর বাড়ীর এ সদস্য।
জাগতিক মানুষের মুক্তির জন্য হরিচাদের অবদানের কথা স্মরণ করতে পাপ মুক্তি ও পুন্য লাভের আশায় শ্রীধাম ওড়াকান্দির ছুটে আসেন পুর্নার্থীরা আর আগামীকাল বৃহস্প্রতিবার পরযন্ত এই মেলা চলবে।
সৈয়দ আকবর হোসেন/এমএম