দিনাজপুরঃ প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্ত সেজেছে এক অপরুপ সাজে। বৃক্ষরাজিরা যেন যৌবনের মহাসঙ্গীতের মহড়ায় ব্যস্ত। ভরে গেছে গাছ গাছালি মুকুলে আর মধু মাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে বসন্তের প্রকৃতি।
ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক বসন্ত এসে গেছে কবি বাক্যের কথা চিন্তা করেই হয়েছে বসন্ত বরন। বাসন্তী রঙ্গা শাড়ি আর মাথায় ফুলের পাগড়ির সাজে সেজেছে বাংলার রমনী। তেমনি হতাশ করেনি ঋতু রাজ বসন্ত। যতই গড়িয়েছে দিন প্রকৃতিও হয়েছে চির যৌবনা। পাখির ডাক
ঝরা পাতার মড়মড়ে শব্দ আর গাছ গাছালি পেয়েছে নতুন কুড়ি। তেমনি প্রায় সব ধরনের ফলের গাছ গাছালি যেন এই বসন্তের শেষ সময়ে মুকুলে ভরে হয়েছে চির যৌবনা। মৌ মাছির ভন ভন শব্দ এখন সর্বত্র।
উত্তরের এই জেলা বরাবরই রসালো লিচু আর আমে বিখ্যাত। তবে জেলায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। প্রায় সব ধরনের ফলের (লিচু, আম, কাঠাল ইত্যাদি) বাগানের একই চিত্র ছেয়ে গেছে মুকুলে। মুকুলে ভরা গাছ গুলোর মধ্যে কিছু কিছু গাছের মুকুলে আবার ফলের কড়িও দৃশ্যমান। আর মধু মাসকে স্বাগত ও দেশ বাসীকে নিমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুতি চলছে।
বাগান মালিক ও বাগানিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগান রক্ষনাবেক্ষনে। মুকুলে ভরা বাগান দেখে আনন্দের মাঝে কিছুটা অস্বস্থি আবহাওয়ার কারনে। কয়েক জন বাগানির সাথে কথা বললে তারা জানান মুকুল এসেছে প্রচুর কিন্তু প্রচুর রৌদ্রের কারনে মুকুল আর ফলের কড়ি জ্বলে বা পরে যায় কি না ভয়ে আছি। এখন একটু বৃষ্টি হলে খুব ভাল হতো। তবে আমরা মেশিনে সেচ দিয়ে চেষ্টা করছি বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
তবে গত বছরের চেয়ে এবারের আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে আছে বলে জানান। আর গত বারের তুলনায় ফলন বেশী পাওয়ার আশাবাদী। যদি দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে তেমন কোন ক্ষতি না হলে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গাছে মুকুল আসতে শুরুর সময় বৃষ্টি হওয়ায়। এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে। অন্যান্য ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফল ফলাদির গাছের জন্য উপযুক্ত সময় বৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পরামর্শ দিয়েছেন হালকা সেচের, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
দিপংকর রায়/এমএম