1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

পাকা ঘর পেয়ে খুশি সেই বৃদ্ধ মকবুল

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২২, ০৪:১৩ পিএম পাকা ঘর পেয়ে খুশি সেই বৃদ্ধ মকবুল

বরগুনাঃ পাশের বাড়ির গোয়ালঘরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন গৃহহীন মকবুল হাওলাদার (৭৫)। তবে এখন থেকে আর তাঁকে এভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে না। তাঁর পাশে এগিয়ে এসেছেন বরগুনার বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির।

মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল সারে এগারটায় ঘরটি মকবুলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। মকবুল হাওলাদার বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর চার ছেলে ঢাকায় কাজ করেন। তবে তাঁরা বাবার খোঁজ-খবর নেন না। তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে লাঠি ও মেয়ের কাঁধে ভর করে কখনো গ্রামে, কখনো পৌর শহরে ভিক্ষা করেন মকবুল। গত বর্ষায় তাঁর জরাজীর্ণ ঘরটি ভেঙে যায়। সেই থেকে প্রতিবেশী খালেক হাওলাদারের গোয়াল ঘরে মেয়েকে নিয়ে কোনমতে বসবাস করে আসছিলেন মকুবল।

এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমের কারণে তা নজরে আসে বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবিরের। তাৎক্ষণিক তিনি মকবুলের পাশে দাঁড়ানোর, তাঁকে ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসার জন্য তিনি মকবুলকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পাশাপাশি শীতের কাপড় ও নগদ অর্থ সহায়তাও দেন।

বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির বলেন, ‘ মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে গণমাধ্যমে অন্যের গোয়ালঘরে থাকা অসহায় মকবুলের খবর দেখে আমি ওই বৃদ্ধ ও তাঁর মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। প্রতিশ্রুতি দেই তাদের একটি বাড়ি তৈরি করে দেবো। সেই অনুযায়ী প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মকবুল ও তার মেয়ের জন্য একটি পাকা বাড়ি তৈরি করে তাদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেই দেই। পাশাপাশি মকবুলের মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে আশা করি প্রশাসন, সমাজের বিত্তবানরা তার মত এ অসহায় পরিবারটির পাশে এগিয়ে আসবে’।

মকবুল হাওলাদার বলেন, ‘ঘর পেয়ে আমি খুশি। মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। আমার ছেলেরা আমার কোন খোঁজ নিত না। গেল বর্ষায় নিজের ঘরটি ভেঙ্গে গেলে প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে থাকা শুরু করি। তবে রাতে ঘুম আসতো না, শীতের রাতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতো। টাকার অভাবে ঘরও তুলতে পারিনি। তবে মেয়র গোলাম কবির আমাদের একটা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। নগদ অর্থ আর কাপড় দিয়েও সাহায্য করেছেন। আল্লাহ তাঁকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখুক।’

সাইদুল ইসলাম মন্টু/এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner