1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ফরিদপুরে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় ওসি গ্রেফতার

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৪:০৬ পিএম ফরিদপুরে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় ওসি গ্রেফতার

ফরিদপুরঃ জেলার কোতয়ালী থানায় করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) শামসুদ্দোহাকে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের একটি দল ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে ওসি শামসুদ্দোহাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়েছে। বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলা ও কোতয়ালী থানা পুলিশ জানায়, ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট ১নং সড়কে বসবাসকারী ফারুক আহমেদের মেয়ে ফারজানা আক্তার তুলি বিয়ে হয় মুকসেদপুর এলাকার নুরুদ্দিন আহমেদের ছেলে শামসুদ্দোহার। ২০১৫ সালে বিয়ে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালানো হয় তুলির উপর। পরবর্তীতে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত ৯ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে তুলি। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ঢাকা গুলশান এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে ফরিদপুর পুলিশ গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরি করার কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করি। তিনি আরো জানান, ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার উপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা। তুলি জানান, এর কিছুদিন পর আমার কাছে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু সে তাতে খুশি হয়নি। এরপর আরো নির্যাতন বাড়তে থাকে। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতো। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ পর্যন্ত এখনও দেখেনি সে।তিনি আরো জানান, বাবার বাড়িতে আসার পর সে আমাকে ফোন দিয়ে বলে টাকা নিয়ে আসতে পারলে আসো, তা না হলে আসার দরকার নেই। নিরুপায় হয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করি।

কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল জানান, স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামীনিউজ/এমবুইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner