গোপালগঞ্জঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক তিনজন হরিজন সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।
তাদের মুক্তির দাবীতে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন।
সড়ক অবরোধের ফলে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ায় জেলা শহরে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বাদী হতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসাবে হরিজন সম্প্রদায়ের তিনজনকে বাড়ী থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তাদের মুক্তির দাবীতে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর থেকে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের নবীনবাগ এলাকায় ময়লা ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
সড়ক অবরোধের ফলে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া সড়কে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। ফলে জেলা শহরে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।
হরিজন সম্প্রদায়ের সন্ধ্যা জমাদ্দার বলেন, এ ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। কিন্তু পুলিশ রাতেই আমাদের সম্প্রদায়ের তিন ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আমরা দ্রুত মুক্তি চাই।
সুরভী জমাদ্দার ও দিলীপ দাস বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা জানি না। কিন্তু আমাদের সম্প্রদায়ের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মুক্তি না দিলে আমরা অবরোধ থেকে সরবো না।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সাথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগস্থ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। এ সময় একটি ব্যাটারী চালিত ইজি বাইকে কয়েক জন ব্যক্তি তাদের তুলে নেয়।
পরবর্তীতে ৭/৮ জন মিলে তাদের হ্যালিপাডের পাশেই নির্মাণাধীন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের ভবনে নিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে।
আগামীনিউজ/এমবুইউ