নেত্রকোনাঃ আশি দশকের ছাত্রলীগ নেতা, নব্বই দশকের ছাত্রলীগের নেতৃত্বদানকারী দেব শংকর সাহা রায় আসন্ন আওয়ামীলীগের পৌর সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী।
দেব শংকর সাহা রায় জানান, ১৯৮৩ খ্রিঃ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে যোগদান করি। ১৯৯৪ খ্রিঃ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ ইং শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত নেত্রকোণা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হই। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতীয় তরুণ সংঘ অক্রর মনি দাইস্যা বৃদ্ধাশ্রম কেন্দ্র, সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) নেত্রকোণা জেলা শাখা, সভাপতি মাইটিভি দর্শক ফোরাম, নেত্রকোণা জেলা শাখা, সভাপতি সচেতন নাগরিক সমাজ, নেত্রকোণা জেলা শাখা, সহ-সভাপতি রাষ্ট্র বিজ্ঞান সমিতি, নেত্রকোণা জেলা শাখা, সহ-সভাপতি পরিবেশ বান্ধব সমিতি, নেত্রকোণা জেলা শাখা, সহ-সভাপতি হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতি, নেত্রকোণা জেলা শাখা।
দেব শংকর সাহা রায়ের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে মধ্যে রয়েছে, ১৯৮৩সাল হতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় কর্মীর ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০সালে তৎকালীন স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনের কার্যক্রম পরিচালিত হতো তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান দূর্গা কেবিন থেকে যার ফলে এরশাদ সরকার, খালেদা জিয়া সরকার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে ১৭বার হামলা ভাংচুর করে। ১৯৯৫সালে তত্ত্বাবধারক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের আলোচনা শেষে তৎকালীন জেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদ স্বপন জোয়ার্দার-এর সাথে তার বড় যুবলীগ নেতা বাবু দীপঙ্কর সাহা রায় এবং তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সদস্য জয়ন্ত মজুমদার রাত আনুমানিক ৪টার সময় নিজ বাস ভবনে যাওয়ার পথে জেলা শহরের বড় বাজার এলাকায় চকবাজার জামে মসজিদের সামনের সড়কে বোমা হামলার স্বীকার হন। আহতদের তাদের পারিবারিক খরচে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করান। তার বড় ভাইয়ের শরীরে বোমার স্প্রীন্টার এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
দেব শংকর সাহা রায় বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনৈতিক সক্রিয়কর্মী হওয়ায় তার পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তারপরও তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষে রাজনৈতিক সেই সঙ্গে সামাজিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আগামীনিউজ/এমবুইউ