বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে মফস্বল এলাকা খুনিহারা। দুপচাঁচিয়া-শিবপুর রাস্তার পাশে অবস্থিত খুনিহারা এলাকা দিন দিন পরিচিত হয়ে উঠছে রসালো, সুস্বাদু ও ভিন্ন স্বাদের মিষ্টির কারনে।
খুনিহারা-আটগ্রাম রাস্তার সংযোগস্থলে প্রায় ৫ বছর আগে গড়ে উঠেছে তিনটি মিষ্টির দোকান।
মিষ্টি দোকানগুলির মিষ্টির খ্যাতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পরিচিতি পেতে থাকে খুনিহারা এলাকা। প্রত্যেকদিন দুপচাঁচিয়া -শিবপুর রাস্তার পথচারীরা যাত্রা বিরতী দিয়ে খুনিহারার মিষ্টির স্বাদ নিতে ভূলে যান না কখনও। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবেশনে এবং আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শহর ছেড়ে মফস্বল এলাকা খুনিহারায় মিষ্টি কিনতে ছুটে আসেন লোকজন।
দোকানগুলির ব্যতিক্রমধর্মী খয়েরি রংয়ের চাউলা মিষ্টি সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কেড়েছে মিষ্টিপ্রেমিদের। এছাড়াও স্পঞ্জ মিষ্টি, সন্দেশ, সাদা মিষ্টি এবং দই এর কদর বাড়ছে দিন দিন।
স্থানীয়রা জানান, মোসলেম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি মিষ্টির দোকান করতেন বিভিন্ন হাটবাজারে। খুনিহারা-আটগ্রাম রাস্তার সংযোগস্থলে মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যূর পরে বছর পাঁচেক পূর্বে তার’ই চার ছেলে মধ্য তিন ছেলে মিষ্টির দোকান এবং এক ছেলে মুদি দোকান গড়ে তোলেন।
দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিষ্টির খ্যাতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বেচাকেনার হারও বাড়তে থাকে তাদের। চাউলা মিষ্টির কদর বেড়েছে স্থানীয় এলাকা ছাপিয়ে দুরদুরান্তের লোকজনদের কাছে। সকল শ্রেণির মানুষের যাতে মিষ্টি কিনতে পারে সেভাবেই দাম নির্ধারন করা হয়েছে।
তারা আরও জানায়, খাটি গরু দুধের ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরি করায় স্বাদে, মানে ও গুনে অনন্য হওয়ায় খুনিহারার মিষ্টিগুলো দ্রুত সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে।
আগামীনিউজ/এমবুইউ