কুষ্টিয়াঃ জেলার কুমারখালীতে জোড়া খুনের বদলা নিতে মামলার আসামী আমিরুল ইসলাম (৫৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের বিদেশ ফেরত ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার, সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৮ জনকে আসামী করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর ০১, তাং-০১/০৪/২০২০ । সেই মামলার ৮ নং আসামী ছিলেন আমিরুল ইসলাম। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের জের ধরেই হত্যার বদলা নিতে বাদীপক্ষেরর লোকজন বিকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে আক্রমণ চালায়। এসময় তাঁর পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্বজনরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে সুমনা বলেন, ' জোড়া খুনের বদলা নিতে বাবাকে খুন করা হয়েছে। আমি এহত্যার বিচার চাই।'
নিহতের চাচাতো ভাই আলম মন্ডল বলেন, ' বিকেলে জোড়া খুন মামলার বাদী পক্ষের আরিফ, আনিস, রানা, জহির, মুসা, মিলন ও কটা মেম্বরের ভাইসহ বেশকিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে আক্রমণ করে এবং ভাইকে ঘিরে ফেলে চারদিক থেকে। এরপর তাঁর পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাতা মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ফিরোজ আহমেদ কটা বলেন, আগের খুন মামলার বাদী পক্ষ্যরা একাজ করেছে। আমার ভাইয়েরা কেউ জড়িত নয়।
এবিষয়ে জানতে জোড়া খুন মামলার বাদী নুরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ' নিহত ব্যক্তি জোড়া খুন মামলার আসামী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বদলা নিতেই বাদীপক্ষরা আক্রমণ করেছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
আগামীনিউজ/শরিফ