পাবনাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় চার নেতার ছবি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে জাতসাখিনী ইউনিয়নের নৌকার পরাজিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গত বৃহঃপ্রতিবার(৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরের হরিদেবপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন জাতসাখিনী ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারা আহমেদ ও পাবনা ২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির।
জানাযায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারা আহমেদ নির্বাচন কালীন সময়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি নির্বাচনী প্রচারণা অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন। নির্বাচনের পর অফিস থেকে তার ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে ফেলা হয়। এতে পরাজিত প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে কাশিনাথপুর আওয়ামী লীগ অফিসে টানানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও জাতীয় চার নেতার ছবি ভাংচুর করা হয়। এ সময় পরাজিত নৌকার প্রার্থী আনোয়ারা বেগম ও পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির উপস্থিত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অংঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জাতসাখিনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ জেল হক মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে নৌকার পরাজিত প্রার্থী আনোয়ারা আহমেদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ অফিসে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেল হত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে টানানো জাতীয় চার নেতার ছবি ভাংচুর করে সেগুলো পায়ের নিচে ফেলে দুমড়ে-মুচড়ে পাশে থাকা নর্দমায় ফেলে দেয় এবং অক্ষত ভাষায় গালিগালাজ করে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে।
জেল হক মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, ‘এই নৌকার প্রার্থী আনোয়ারা আহমেদ রাজাকার বাহিনীর কমাণ্ডারের নাতনী এরা মুলত বিএনপি জামায়াতের অনুসারী আর এ কারণে সাধারণ জনগণ নির্বাচনে তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বোঝা যায় সে প্রকৃত রাজাকারের রক্তের মানুষ যা কি না তার পরাজয়ের পর ফুটে উঠেছে। দুঃখের বিষয় ঘটনার সময় সেখানে সয়ং উপস্থিত ছিলেন পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির ও ফিরোজ কবিরের সফর সঙ্গী তরুনশ অনেকেই।’
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে নৌকার পরাজিত প্রার্থী আনোয়ারা আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। ইউপি নির্বাচনে একটি কুচক্রী মহল চক্রান্তের মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করেছে। নির্বাচনের পরেও তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই অফিস আমার নির্বাচনী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। নির্বাচনের একদিনের মাথায় তারা সেখান থেকে আমার ও আমাদের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরে ছবি সরিয়ে তাদের পছন্দের নেতা কামরুজ্জামান উজ্জলের ছবি টানায়। পরবর্তীতে তাদের টাঙানো ছবিগুলো নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ভাংচুরের মতো কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আগামীনিউজ/বুরহান