1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সৈয়দপুরে পাঁচ ইউপিতে ভোট কারচুপির আশঙ্কা প্রার্থীদের

জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১, ১১:৪২ এএম সৈয়দপুরে পাঁচ ইউপিতে ভোট কারচুপির আশঙ্কা প্রার্থীদের
ফাইল ছবি

রবিবার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের পাঁচ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারনার কাজ। ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার বলয়ে থাকবে ঢাকা। যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে প্রস্তুত। ভোট কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হবে ভোট। ভোটাররা লাইনে দাড়িয়ে সুশৃঙ্খল ভাবে ভোট প্রদান করতে পারবে।

আইনের এমন কড়াকড়ি থাকায় দূর্বৃত্ত ধরনের প্রার্থী ও তাদের নীতি নির্ধারকরা ভোটের ফল নিজের দিকে টানতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে জানা গেছে। যেসব মার্কার প্রার্থীরা শত ধরনের কৌশল অবলম্বন করেও ভোটারদের কাছে টানতে পারেননি সেইসব মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পিছন দরজা দিয়ে হাটতে চাইছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের মনিটরিংয়ে অমন কারচুপির ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী আরও বলেন ভোট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শান্তি পূর্ণ ভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ব্যালট পেপার গণনার সময় যে প্রার্থীকে জেতানো হবে তার বান্ডিলে হবে ৭৫টি ব্যালট পেপারে ১০০টি ভোট। আর জনপ্রিয় প্রার্থীর মার্কার ব্যালট পেপারের বান্ডিল হবে ১৫০টি দিয়ে। কিন্তু বান্ডিলে ভোট দেখানো হবে ১০০টি। এমন অনৈতিক কাজ সুচারু রুপে সমাধা করতে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসাদের সঙ্গে করা হবে অতি গোপনে আর্থিক লেনদেন। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে ওই দায়িত্ব যারা পালন করেন তারা স্কুল কলেজের শিক্ষক ও সরকারি চাকুরিজীবী হয়ে থাকেন। এ জন্য সরকারি দলের নেতারা খুব সহজে তাদের নিয়ন্ত্রনও করতে পারেন।

ভোট সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য ২৩ ডিসেম্বর বিকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়া সকল প্রার্থী ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যে বলেন, ভোট কেন্দ্রে নিযুক্ত কোন পোলিং এজেন্ট কোনভাবেই যেন বুথ ছাড়া না হয়। পারলে দুপুরের খাওয়াটাও বুথে বসে করতে পারবে। পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ওই সভায় উপস্থিত বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুল হক বাবলু। 

ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপারের বান্ডিল করাকালে নয় ছয়ের আশংকা প্রার্থীদের এমন অভিযোগ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রার্থীদের আশংকা থাকার কোন প্রয়োজন নেই।

একই অভিযোগ বিষয়ে জানতে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইনের সঙ্গে। তিনি মুঠোফোনে জানান, অভিযোগ বিভ্রান্তিকর। পোলিং এজেন্ট উপস্থিত থাকবে। কারচুপি করার সুযোগ কেউ পাবে না।

ভোট গণনাকালে নয় ছয় হওয়ার আশংকা প্রার্থীদের এ অভিযোগ বিষয়ে জানতে কথা হয় নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি মুঠোফোনে জানান, এমন ধরনের কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই। 

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner