লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ী বাজারে মাংসে চর্বি দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কসাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা মামলায় কলেজ শিক্ষক হযরত আলীর বাবা ফজলু মিয়াকে (৬৫) নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোক্তারুল ইসলাম দুপুরের পর গ্রেফতারকৃত ফজলু মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরনের কথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার গভীর রাতে আদিতমারী থানা পুলিশ কলেজ শিক্ষক হযরত আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার ৫নম্বর আসামি হযরত আলীর বাবা ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত ফজলু মিয়া উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সারপুকুর চওড়াটারী গ্রামের মৃত মবেজ উদ্দিনের ছেলে এবং মামলার মুল আসামি কলেজ শিক্ষক হযরত আলী সাপ্টিবাড়ি কলেজের কৃষিশিক্ষা বিভাগের প্রভাষক।
উল্লেখ্য, শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে গরুর মাংস কেনার সময় মাংসে একটু চর্বি বেশী দেয়ায় কলেজ শিক্ষক হযরত আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন কসাইয়ের উপর। এর একপর্যায়ে কসাই শহিদুল ইসলামকে (৩৫) তারই দোকানের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই কসাই শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলার মুল আসামি কলেজ শিক্ষক হযরত আলীর বাবাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
গুরুতর আহত মাংস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ৯ জন আসামীর মধ্যে মামলার ৫ নম্বর আসামি ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আগামীনিউজ/এসএস