লক্ষ্মীপুর: জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল আল মামুন রাব্বির মোবাইলে তার কণ্ঠ নকল দিয়ে অপ্রপচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সেই।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল আল মামুন রাব্বি বলেন, ‘নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিলে ধরি আনি ক্রসফায়ার করিয়াম’ এ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদপত্রে আমার নামে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি রিয়াজ উদ্দিন মিঝির মোবাইল ফোনে কল দেয়নি। তার সঙ্গে আমার কোন কথা হয়নি। আমি তাকে কোন ধরনের হুমকিও দেয়নি।
কে বা কাহারা আমার কণ্ঠ নকল করে এবং আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল খালেক বাদলকে বির্তকিত করার জন্য এ ধরনের ষড়ষন্ত্র চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে ডিজিটাল প্রযুক্তি আইনে মামলার করার প্রস্ততি নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ফাঁস হওয়া ওই অডিওটি আমার না। আমার চাচা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। চাচা আবদুল খালেক মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি ও আমি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছি। এতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর গ্রহনযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নৌকার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাবে আমার বিরুদ্ধে এবং আমার চাচা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা নিজেদের তৈরি করা একটি অডিও রেকডিং দিয়ে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বাটোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আমি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম কমান্ডের সহ-সভাপতি মিনহাজ শাকিল, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাহমুদ নিরব, সানোয়ার হোসেন সাব্বির, মারুফ আহম্মেদ সোহান, মিনহাজুর রহমান রিমু, ইমতিয়াজ মাহমুদ রাপ্তিসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনির কর্মী রিয়াজ উদ্দিন মিঝিকে ক্রসফায়ারসহ হত্যার হুমকির ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের এক কল রেকডিং ফাঁস হয়। আর ফাঁস হওয়া সে ফোনালাপটি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতীজা আবদুল আল মামুন রাব্বি বলে দাবি করেন রিয়াজ মিঝি।
অডিওটিতে শুনা যায়, ‘এই মিঝি নিরে। মিঝি, যদি আর একটা স্ট্যাটাস দেস নৌকার বিরুদ্ধে তাহলে তোরে বাড়িতে তন (বাড়ি থেকে) ধরি আনি (এনে) ক্রসফায়ার করিয়াম (করব)। নৌকার বিরুদ্ধে কোনো স্ট্যাটাস দিলে ডাইরেক্ট আঁকি হালাইয়াম (ফেলবো) তুই যিয়ানেই (যেখানেই) থাস (থাকিস)। তুই বাড়িত নি হেডা (সেটা) ক (বল)। তুই নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিবিতো, তুই মহানগর যুবলীগ করসতো, যুবলীগের নাম বেঁচস কেন? তুই বিএনপির লগে লিয়াজু করে আওয়ামী লীগের পেস্টুন ভাঙস, এগিন মাইনসে জানে না। বিএনপির লগে লিয়াজু করে যুবলীগের নাম বেচস (বিক্রি করিস)। মারি (মেরে) হালাইয়াম, ডাইরেক্ট মারি হালাইয়াম। তোর বাবা হালিম মাস্টারের হবে ওয়াপদা অফিসে নাম ধরি কইছি।
আগামীনিউজ/ হাসান