যশোরঃ নিখোঁজের একদিন পর যশোরের শার্শার বেতনা নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে নাসির মোল্লা (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা। পেশায় তিনি একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন।
শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দলের সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত নাসির মোল্লা বরিশালের কেউতা গ্রামের জয়নুদ্দীন মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, ৩ সন্তানকে নিয়ে শার্শা উপজেলার বৃত্তিবারিপোতা গ্রামে বসবাস করতেন। স্থানীয় নারায়ণপুর বাজারে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চালের ব্যবসা করে আসছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে নাসির মোল্লা বেতনা নদী থেকে কচুরিপানা তুলছিলেন। কোনও এক সময় তিনি পানিতে ডুবে যান। তারপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার স্ত্রী লায়লা খাতুন শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শার্শা থানায় স্বামী নিখোজের একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রশাসনসহ বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন এবং খুলনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দলকে অবহিত করা হয়। শনিবার সকালে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে কিছুটা দূরে কচুরিপানার নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন ডুবুরিরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বেনাপোল স্টেশন কর্মকর্তা রতন কুমার দেবনাথ বলেন, এক ব্যক্তি বেতনা নদীতে ডুবে গেছে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও খোঁজাখুঁজি করি। না পেয়ে বিষয়টি খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে অবহিত করলে আজ শনিবার দুপুরে তাদের সমন্বয়ে তল্লাশি করে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে। হত্যার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান জানান, গতকাল শুক্রবার বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সারাদিন ডুবুরিরা খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় আজ খুলনার একটি ডুবুরি দল মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ধারনা করা হচ্ছে তার মৃত্যু পানিতে ডুবেই হয়েছে। তার শরীরে কোন ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/এসআই