পাবনাঃ পিঠা নিয়ে বাঙালির আবেগ চিরকালের। নানা রকমের পিঠার আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হলো ভাপা পিঠা। কারণ শীতের শুরুতেই ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম চোখে পরে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসে ভাপা পিঠার দোকান।
শীতের শুরুতেই বেড়া উপজেলার আনাচে কানাচে ভাপা পিঠার দোকান গড়ে উঠতে দেখা যায়। ভোরে সূর্য ওঠার আগে এসব মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ী তাদের পিঠা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে পিঠা তৈরি করতে আরম্ভ করে। প্রতিদিন সকালে চালের গুড়ার পিঠা তৈরি হয়। তার সাথে কয়েক কেজি পাটালি গুড়। অনেকেই সকাল-সন্ধ্যা দু’বেলাতেই পিঠা বিক্রি করেন। এসময়টায় অন্য কোনো কাজ না করে পিঠা বিক্রি করেই চলে সংসারের ব্যয়। তাছাড়া সূর্যের তাপ বাড়ার সাথে সাথেই পিঠা বিক্রির আয়োজন সমাপ্ত হয়। ফলে অন্য কাজও করতে সমস্যা হয় না।
জলীয় বাষ্পের ভাপ অর্থাৎ আঁচে তৈরি করা হয় বলে এর নাম ভাপা পিঠা। একটি মাটির পাতিলে আধা ইঞ্চি মতো অথবা ছোটো ছোটো কয়েকটি ফুঁটো করে পাতিলের মুখে এমনভাবে বসাতে হয় যেন বাতাস অন্যদিক দিয়ে বাইরে না বের হতে পারে। এরপর পাতিলের অর্ধেক সমান পানি নিয়ে চুলায় ফুটাতে হবে। এরপর একটি মাটির সরায় (ছোট পাত্র) আগে থেকে প্রস্তুত করা চালের গুড়ার সাথে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে একটি পাতলা কাপড় (অতি ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত) মাটির পাত্রের মুখে ধরে কাপড়সহ চুলায় থাকা পানির ওপর দিতে হয়। এরপর মিনিট দুয়েক অপেক্ষা করে পাতলা কাপড় সহ তুলে আনতে হবে। গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজা অন্যরকম।
আগামীনিউজ/শরিফ