1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

চেয়ারম্যানের নির্যাতন: বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে বীরাঙ্গনা জাহানারা

রানীশংকৈল প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১, ১০:৪৮ এএম চেয়ারম্যানের নির্যাতন: বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে বীরাঙ্গনা জাহানারা
ছবিঃ আগামী নিউজ

ঠাকুরগাঁওঃ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের বিশমাইল গ্রামের বীরাঙ্গনা জাহানারা বেগম চেয়ারম্যান দ্বারা নির্যাতনের এক বছর পার হয়ে গেলেও কোন বিচার পান নাই। বিচারের দাবিতে এখনো সেই বীরাঙ্গনা কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান তার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকীর কারণে ভয়েও রয়েছেন তিনি।

বীরাঙ্গনা জাহানারা বেগম জানান, একবছর আগে রিলিফ এর চাল নেওয়ার জন্য তিনি স্হানীয় চেয়ারম্যানের কাছে যান। ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম তাকে চাল না দিয়ে তার উপর কোন কারণ ছাড়াই সকলের সামনে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেন এবং উপস্থিত অনেকের সামনে আমার দুইগালে একাধিক চড়থাপ্পড় দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দেন।

এরপরে এ বিষয়ে ইউএনও বরাবরে চেয়ারম্যানের এমন কার্যকলাপের নালিশ নিয়ে গেলে ইউএনও বিষয়টি দেখার আশ্বাস প্রদান করেন এবং ৫শত টাকা হাতে দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারপরে চেয়ারম্যান বীরাঙ্গনাকে হুমকী দেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার সন্তানদের মেরে ফেলবে। তারপরেও সমাজের অনেকের কাছে গেলেও কোন বিচার পান নাই। কিন্তু যে অপমান করেছে চেয়ারম্যান সেই অপমানের বোঝা মাথায় বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে  নির্যাযিত বীরাঙ্গনা জাহানারা বেগম।

ওই বিষয়ে স্হানীয় বাসিন্দারা বলেন, চেয়ারম্যানের আগে কিছুই ছিল না। তার বাবা ছিলেন কানি পাইকার। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান হওয়ার গরিবের চাল চুরি করে আলিশান বাড়ি দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে কোন নালিশ নিয়ে গেলেই টাকা লাগবে চেয়ারম্যানের। কোন কাজ করাতে টাকা লাগে। ওই চেয়ারম্যানের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসি।

এছাড়াও কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম এর বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের সাথে অসদাচারন ও স্বেচ্ছাচারিতা সহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে অনাস্থা অভিযোগ দিয়েছিল ওই ইউনিয়নের ১১জন ইউপি সদস্য।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান মাহাবুব হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। ওই মহিলা একটা ফালতু মহিলা।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ওই চেয়ারম্যান একজন উদ্ভট প্রকৃতির মানুষ। আইন কানুন কোন তোয়াক্কা করেন না। আমি চেয়ারম্যানকে নির্যাতনের স্বীকার বীরাঙ্গনা জাহানারার সমস্যাটি সমাধানের জন্য একাধিকবার বলেছি।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner