যশোরঃ ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারনে আজ শুক্রবার সকাল হতে বেনাপোল থেকে পণ্য পরিবহনসহ দুরপাল্লাার সকল ধরনের গন পরিবহন বন্ধ রয়েছে। গন পরিবহন বন্ধ থাকার কারনে বিপাকে পড়েছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা। তবে যাত্রীরা বিপল্প পথে গন্তব্য স্থলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক বাবলুর রহমান জানান, হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রেীয় বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সদস্যরা আলোচনা করে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরাও তাদের সাথে একাত্ততা ঘোষনা করে ধর্মঘট পালনের জন্য সকলকে জানিয়েছি। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিন বঙ্গ থেকে কোন গন পরিবহন বা পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি। এসময় তিনি আরও বলেন ডিজেলের মূল্য পুর্নবিবেচনা ও বাস ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
এদিকে গন পরিবহন হঠাত করে বন্ধ হওয়ার কারনে বিপাকে পড়েছেন ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা। ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর কোন পরিবহন না চলার কারনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তাদেরকে ট্যাক্সি ভাড়া করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার ভারতে চিকিৎসা করে আসার পর কাছে টাকা না থাকায় পরিবহন কাউন্টার অবস্থান করছেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা গোপালগঞ্জের জয়ন্তি তালুকদার, সুরেশ তাদুকদার বলেন, আমরা ভারতে গিয়েছিলাম চিকিৎসা করতে। আজ বাংলাদেশে ফিরে আসার পর বুঝতে পারলাম ধর্মঘট চলছে। এখন কিভাবে বাড়ী যাবে বুঝতে পারছিনা। টাকাও বেশী নেই যে ট্যাক্সি রিজার্ভ করে যাবো। এজন্য কাউন্টার বসে আছি ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবর বহমান জানান, এখন যাত্রী অনেক কম। বাংলাদেশে ধর্মঘট হলেও সকাল থেকে ভারত থেকে ফিরছে যাত্রীরা। তবে সকাল থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কতো জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন সেটা সন্ধায় ছাড়া বলা সম্ভব নয়। বাস ধর্মঘটের কারনে ফিরে আসা যাত্রীদের কেউ কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ কাউন্টারে অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছি।
আগামীনিউজ/নাসির