1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত

বেনাপোল প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০১:২৬ পিএম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত
ছবি : আগামী নিউজ

শিগগির ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার খোলা থাকবে সপ্তাহে সাতদিন। এর ফলে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিষেবা পাওয়া যাবে ২৪ ঘণ্টাই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ২৪ ঘণ্টার এই পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির পরিচালক অজিত কুমার সিং (অপারেশন) গত ২৫ অক্টোবর এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

পরীক্ষামূলকভাবে আগামী তিন মাসের জন্য আপাতত নতুন এই নিয়ম চালু করা হবে। এই নির্দেশিকা সফল হলে তা স্থায়ীভাবে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে শুধুমাত্র বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে।

বর্তমানে সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে। পাশাপাশি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু রয়েছে। এই সময়ের বাইরে কোন যাত্রীর সীমান্ত পার হওয়ার যতই প্রয়োজন থাকুক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর ইমিগ্রেশন দফতর খোলা না থাকায় তাদেরকে আটকে পড়তে থাকতে হতো চেকপোস্ট এলাকায়। ফলে যাত্রী পরিষেবা ২৪ ঘণ্টার জন্যই চালু হলে হয়রানি কমবে দুই দেশের নাগরিকদের। গত ৩১ আগস্ট এ বিষয়ে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বর্ডার ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে একটি বৈঠক হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে ভারতের বনগাঁ পৌরসভার কালিতলা পার্কিং এর সিন্ডিকেট না ভাঙলে ২৪ ঘন্টা পণ্য পরিবহনে আমদানি-রফতানিতে কোন উপকারই আসবে না। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ট্রাকগুলো বনগাঁর কালিতলা পার্কিং এ দিনের পর দিন আটকে রেখে ব্যবসায়ীদের নানা ভাবে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বর্তমানে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য চালানের এক একটি ট্রাক মাত্র ৬ কিলোমিটার দুর বনগাঁ থেকে বেনাপোল বন্দরে আসতে এক মাস থেকে দেড় মাস সময় লাগছে। ওপারের পার্কিং এর দৌরাত্ন কমাতে না পারলে ২৪ ঘন্টা খোলা রেখে ব্যবসায়ীদের কোন উপকারেই আসবে না। আগে যেখানে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে আসতো। এখন সেটা কমে ২৫০ থেকে ৩০০ এ দাঁড়িয়েছে।

ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বাণিজ্য আর চিকিৎসা সেবা নিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু রয়েছে ইমিগ্রেশনে। এ সময়ের বাইরে কোনো যাত্রীর সীমান্ত পার হওয়ার যতই প্রয়োজন থাকুক না কেন নির্দিষ্ট সময়ের পর ইমিগ্রেশন দফতর খোলা না হওয়া অবধি তাদের আটকে পড়তে হতো চেকপোস্টে। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল বন্দর ২৪ ঘণ্টা সচল রাখার। যাত্রী পরিষেবা ২৪ ঘণ্টার জন্য চালু হলে হয়রানি কমবে দুই দেশের নাগরিকদের।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বর্তমানে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সপ্তাহে ৬ দিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়। এছাড়া সরকারি  ছুটির দিন বাণিজ্য বন্ধ থাকে। এখন সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রফতানি চালু হলে হলে বাণিজ্যে গতি ফিরবে। এতে সরকারেরও রাজস্ব আয় বাড়বে। তবে কালিতলা পার্কিং এর সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এমন সিদ্ধান্তে উপকৃত হবে দুই দেশের মানুষ।

সীমান্ত সুত্রে জানা যায়, এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল-পেট্রাপোল। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর উদ্দেশে বর্হিবাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে বছর তিনেক আগেই এই সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য পণ্য পরিবহন পরিষেবা চালু করা হয়। তবে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে ২৪ ঘণ্টার পণ্য পরিষেবা চালু থাকলেও করোনার কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও বেশ কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর পণ্য পরিবহন চালু হয়েছে। এবার দুই দেশের মধ্যে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা চালু হবে যাত্রী পরিষেবাও। এর ফলে নানা প্রয়োজনে দুই দেশে যাতায়াতকারী মানুষেরা উপকৃত হবে। বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াত দুই খাতেই প্রসার ঘটবে। 

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে ভারতের সাথে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের বছরে রাজস্ব আয় হয় ৬ হাজার কোটি টাকা। আর এ পথে দুই দেশের মধ্যে বছরে প্রায় ১৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। ভ্রমণ খাতে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ১শ কোটি টাকার কাছাকাছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে মেডিকেল, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসায় যাত্রী যাতায়াত চালু রয়েছে। গত বছরের ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ভ্রমণ ভিসা।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner