বরগুনাঃ জেলার বেতাগীতে বৃক্ষরোপণের মৌসুমের শেষ দিকে এসেও মৌসুমি গাছের চারা হাঁটে চলছে চারা বিক্রির ধূম। ইতোমধ্যে মৌসুমি চারা গাছ বিক্রির বাজারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা। প্রচুর পরিমানে গাছের চারা বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখেও ফুটেছে হাঁসি।
সারা বছর এ হাঁটে কম বেশি গাছ বিক্রি হলেও বর্ষা মৌসুম আসলে হিড়িক পড়ে চারার বেচাকেনায়। শনিবার সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জায়গার অভাবে বেতাগী পৌর শহরের শহীদ মিনারের এলাকার প্রাচীরের গাঁ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই চারা বিক্রির হাঁট। সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নার্সারি মালিক ও উৎপাদনকারীরা চারা নিয়ে এখানে এসে বিক্রি করেন। মৌসুমি এ হাঁটে মিলছে ওষুধি, ফলদ, বনজ ও সৌখিনসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ। তবে বনজ গাছ হিসেবে মেহগনি ও রেইনট্রি বিক্রি হচ্ছে বেশি। কমতি নেই ফলদ চারা গাছেরও।
মেহগনি ও অন্যান্য বনজ গাছের চারা ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ফলদ চারা বিক্রি হচ্ছে একশ ৫০ টাকা থেকে তিনশ ৫০ টাকা পর্যন্ত। সৌখিন মানুষের জন্য বিদেশি জাতের মাঝারি ঝোপ গাছের চারাও পাওয়া যায় এসব হাঁটে। তবে সেগুলোর দাম আরও বেশি। আর এসব চারা পিরোজপুর জেলার নার্সারি হতে সরবরাহের পাশাপাশি এখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উৎপাদন হয়।
প্রতিবছর বেতাগী পৌরবাজার থেকে কমবেশি চারা কিনেন অবসরপ্রাপ্ত পোষ্ট মাস্টার আব্দুল হাই। তিনি জানালেন, ‘চারা গাছ কেনার জন্য এখানে অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায়। এ জন্য এ বাজারে থেকে চারা ক্রয় করেন। তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি।
চারা গাছ ব্যবসায়ী আ: জব্বার বলেন,‘আমি চার বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা তৈরি করেছি। এই মৌসুমে ১৫ হাজারের মত চারা বিক্রি করেছি। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে সবচেয়ে বেশি গাছের চারা বিক্রি হয়। আশাকরি এই মৌসুমে চারা বিক্রি করে লাখ খানেক টাকা লাভ হবে।’
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বৃক্ষরোপণের মৌসুমি নার্সারি থেকে সরবরাহ এবং কৃষক পর্যায়ে অনেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেন। আর এই গাছের চারা লাগানোর মৌসুমে গাছগুলো হাঁটে বিক্রি করে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
আগামীনিউজ/শরিফ